আমি আকাশ দেখেছি পৃথিবীর বহু কোন থেকে।
দেখেছি-খয়ে যাওয়া পূর্ণিমার স্থিমিত আলোয়
লক্ষ জোনাকির ঝিকিমিকি।
দেখেছি কাশ শাল মহুয়া আর হোগলার বন,
কদম-কৃষ্ণচূড়া-মাঠে নুয়ে পড়া পাকা ধান,
ঝাউয়ের সারির সাথে মিঠে জোছনায় কুলু কুলু
যাওয়া স্রোতশীলা নদী।
শুনেছি কীর্তন-ভাদু-টুসু-বাউল আর সারি......
এখানে, এই বাংলায় সব যেনো বড় বেশী মায়াময়
ঠিক মায়ের স্নেহের মতো
আদূল কিশোর ঝাপ দেয় জোয়ারের জলে,
খাপলা জালে ডিঙি চড়ে মাছ ধরে মাঝি।
ঝাক বেধে পাখী সাতরায় বাতাসের গাঙে,
ময়না-দোয়েল-কোকিল সুর সাধে পা-ধা-নি-সা বোলে। জলকেলি খেলে রাজহাস সরসীর স্বচ্ছ
নীল জলে। সন্ধ্যায় আজান আর একই সাথে বাজে
কাসর শঙ্খধ্বনি এই বাংলায়।
এখানে স্নেহ আর ভালোবাসা কিশোর প্রেমের মতো
আজও একাকার।
জাত-পাত ভেসে যায় খড়ের কূটোর মতো
প্লাননের জলে,
তাইতো ভুলতে পারিনা আমি এই বাংলা---
এখানে  সবকিছু বড় বেশী  মমত্বময়,
ঠিক যেনো মায়ের স্নেহের মতো।