দীর্ঘ সাত দশক অতিক্রান্ত,
আবার একটা স্বাধীনতার তেরঙা পতাকা উড়ানো
তিথি সমাসন্ন।
মাইকে মাইকে গান বাজবে "সারে যাহাসে আচ্ছা-
ও মেরে বতনকে লোগ......
সাথে একই বাতাসে উড়বে জাকির নায়েক থেকে অযুত আসারুদ্দিন ওয়াইসি আর উগ্র হিন্দুত্ববাদের
অহিতকর অমানবিক বিষাক্ত তীব্র দাঙ্গা ছড়ানো
ভাষন।
চলবে মন্দির আর মসজিদের পাঞ্জা কসা লড়াই।
অথচ আজও একটা ভারতবর্ষ ভূখা পেটে ফুটপাতে শোয়। অশিক্ষা গোঁড়ামিতে ভরা কুসংস্কার যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
শিশু-নারী আর কিডনি পাচার চক্রের শিকড় বহু গভীরে প্রথিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকেও বার
আর মদের লাইসেন্সে চলে উদারীকরণতা।
উদভ্রাম্ত দিশাহীন যৌবনকে রসাতলে পাঠাতে
চলে নীল আলোয় চটুল ফিল্মী গানের সাথে  ক্ষুধার্ত
বিবস্ত্রা যুবতীদের উদ্দাম নৃত্য, মনুষ্যত্বের লুন্ঠন   চলে প্রতি রাতে।
ডেট পেরোনো জীবনদায়ী ওষুধের সাথে ব্যাবস্থায়
চলে চিকিৎসা সিস্টেমেে লুটের মহোৎসব।
নিয়ম করে ভোট আসে আর ভোট যায়,
চলে নেতাদের স্বপ্ন দ্যাখানো প্রতিশ্রুতির বাঁধাহীন ফোয়ারা, ফলস্বরূপ কারো বিদেশি ব্যাঙ্কে ডলারের
পাহাড় আকাশ ছোঁয়, আর বাকি অন্ধকারের মানুষ নামক অবহেলিতরা আরও গভীর অন্ধকারে অন্তিম
স্বাস নিতে নিতে তলিয়ে যায়।    
সত্তর দশক অতিক্রান্ত করেও এই নিয়মই বহাল রয়েছে। তাইতো প্রশ্ন জাগে বারে- বারে
- এই কি আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা?
এই আমাদের অজস্র বুকের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন ভারতবর্ষ?
এর জন্যই কি নেতাজী সুভাষ ঘর ছেড়েছিল?
বুকের রক্ত ঢেলেছিল বিনয় -বাদল-দিনেশ আর অগুণতি যতীন দাশ। ফাঁসীর মালা গলায় পরেছিলো
বীর ক্ষুদিরাম আর মঙ্গলপান্ডের মত বহু তাজা প্রাণ।  
রক্তে তুফান  তোলা বন্দেমাতরম স্লোগান রচনা
করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র।    
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে
রবীন্দ্রনাথ নাইট খেতাব বর্জন করেছিলেন।
নাম না জানা কত উদীপ্ত যৌবনের আত্ম বলিদানের
বিনিময়ে এসেছিলো দুর্দশার স্বাধীনতা।            
দেশ মাতাকে দু টুকরো করে, ধর্মে ধর্মে চিরন্তন
লড়াই বাঁধিয়ে রক্তের হোলিতে অগুনতি মানুষ কে
ভিটেহারা করে চোখের জলে এসেছিলো যন্ত্রণার এই
স্বাধীনতা।
সেই বিষ গলাদ্ধকরন করে আজও আমার স্বদেশ
জ্বলছে, একদেশেে জন্মেও ভাইয়ের সাথে ভাই লড়ছে।
আসল সত্যকে উপেক্ষা করে এখনও ভুল ইতিহাস
শেখানো হচ্ছে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে।
সেই আলো কেড়ে নেওয়া নেতৃত্বের বংশজরা
আজও ছরি ঘুড়িয়ে চলেছে।
এসো বন্ধু আমরা সবাই হিন্দু মুসলমান শিখ বৌদ্ধ
জৈন খ্রিস্টান সমস্ত ধর্মের অনুসারী মিলে হই এক
জাতি- এক প্রাণ।      
এসো, আমরা প্রমাণ করি আমাদের আদর্শ -
কৃষ্টি-সংস্কৃতি, আমরা সবাই হাতে হাত রেখে
অশিক্ষা অন্ধ ধর্মীয় গোঁড়ামি আর দারীদ্রতার বিরুদ্ধে
লড়াই সুরু করি। জয়ী আমাদের হতেই হবে বন্ধু,
সেই হবে আমাদের প্রকৃত গনতান্ত্রিক শ্রেষ্ঠ স্বাধীনতা।