বলতে পারো, কার ইশারায় মেঘের পাহাড়
মেঘ ভাঙা ঢল বৃষ্টি ধারা?
কোন তিয়াসার মেটাতে ঋণ
হয়, আকাশ সলিল পাগলপারা।
জল করঙ্ক ঝাঁকিয়ে মাথা
কাড়া-নাকাড়াই জীমূত  মন্ত্র,
যেন ত্রিশুল উঁচিয়ে নাঁচে নটরাজ
ভীত জড়সড় ভূবন তন্ত্র।
সবকিছু বুঝি যাবে রসাতলে
উথাল পাথাল তাই চরাচর,
লক্ষ খুরেতে নির্ঘোষ তুলে
বাইসন ফোঁসে ভীম গড় ঘড়।
এক অঝোরের ধারা বরিষণে
নিমেষে স্নিগ্ধ  হয় সমীরণ,
খুশি হিল্লোলে ছড়া কবিতায়
গীতি লিখে গায় বন-উপবন
কার অভিলাষে ঘুম ভেঙে বীজ
আকাশ ছুতে হাত বাড়ায়,
কোন রসায়নে সুদূরে সূর্য
উত্তাপ আর রোদ ছড়ায়।
এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড, গ্রহ -তারা পথ
কোথায় শুরু, কোথায় বা শেষ!
সেই অধরা শক্তির জানিনা কিছুই
কেমন অবয়ব,কেমন বেশ?
তার ইচ্ছে ছাড়া নড়েনা পাতা
গায় না পাখিরা সুরেতে গান,
সেই তো স্রষ্টা, মহান শক্তি
যে নামেই তারে দাও মান।