বসন্ত এলো নব কলবরে
বিবর্ণ পাতা ঝরিয়ে,
এলো বসন্ত শূন্য অম্বরে
উড়ো ছেঁড়া মেঘ ছড়িয়ে।
আম্র কাননে বসন্ত এলো
নব মঞ্জরী ভরিয়ে,
ধূলা ধূসরিত রুক্ষ ভুবনে
শ্যামলি মা দিয়ে ছড়িয়ে।
শিমূল-পলাশ-অশোকের বনে
সুরু হল হরি খেলা।
যেন মাটির ভুবনে বসেছে রঙ-এর
কত না পসরা মেলা।
এ ভরা ফাগুনে এয়োতি বসুধার
সিঁথি দিল কে রঙে রাঙিয়ে?
যারা শীত ঘুমে- ছিল অচেতনে
কে দিল সে ঘুম ভাঙিয়ে - সে কি বসন্ত?
মনের গগনে কোন শিহরণে
বাজায় কে বলো বাঁশি!
হৃদয় কুঞ্জে গুন গুন সুরে
কে বা দোলা দিল আসি, -সে কি বসন্ত?
ওগো ঋতুরাজ, এতো ফুল সাজ
কে বলো তোমায় সাজালো?
এত কলতান কত পাখি গান
এতো সুর কে বা বাজালো -
কেন বারে বারে কেঁপে ওঠে হিয়া
ডাক দিয়ে যায় কোন মরমিয়া!
এই মধুমাসে কি জানি কি আশে
হৃদি থর কাঁপে গোপনে,
মনের ময়ূরী মেলেছে পেখম
জানিনা সে কোন স্বপনে!
এ ফাগুন এসে কেন যে জানিনা
ধরালো আগুন এ বক্ষে!
জ্বলে পুড়ে মরি ওগো সহচরী
বলো না কে করিবে রক্ষে।
ওগো ননীচোরা রঙে রঙে আজি
ভেজাও এ তপ্ত বসনা,
তুমি ছাড়া ওগো কৃষ্ণ - কানাই
কে মেটাবে এ মনো রসনা!
এসো সবে মিলে করি হোলি খেলা
ফুলের আবির ছড়িয়ে,
সব ব্যথা ভুলে খুশী পাল তুলে
রঙে রাঙি মন ভরিয়ে।
ভরে পিচকিরি  দাও ছুড়ে দাও
ব্যথার বিরহ সব মুছে নাও।    
আজ শুধু হোলি আবিরে ও রঙে
রাঙিয়ে দেবার বেলা,
সব ভেদ ভুলে, সব জনে মিলে
এসো খেলি হোলি খেলা।