যাদের পেটে খিদের আগুন
দাউ দাউ দাউ জ্বলে,
মাথার উপর খা-খা রোদ্দুর
ভেজে বৃষ্টি জলে।
তাদের কাছে আসল ধর্ম
রুটি বা একমুঠো ভাত,
মসজিদের আজান -মন্ত্রচ্চারনে
ঘোচেনাকো কালো রাত।
ঈস্ট-খৃস্ট সবই সমান তার
সে বোঝেনাকো ব্যাবধান,
গাছপাতা সেদ্ধ পুকুরের গুগলি
সে ই তার আসল ধর্ম মান।
খেতে দেমা বলে সন্তান কাঁদে,
বোঝেনাকো জাত পাত,
রাজা বা মন্ত্রী কে বা এলো গ্যালো
জানেনাকো পাঁচ সাত।
বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির
সেতো সেই ভারতের জন্য,
ধর্ম মাদকে বেহুশ রেখে, যারা
হতে চায় নিজে ধন্য।
ভাবোতো বন্ধু, লোভী সে নেতারা
কেউ কি, এ দেশের ভালো চেয়েছে?
অজুত কোটিকে পথে ঠেলে দিয়ে
নাম আর গদি পেয়েছে।
সেই বিষানলে জ্বলছে দু-দেশ
আজও বাটোয়ারা ভুলে লড়ছে,
ভাই-ভাইকেই বড় শত্রু মেনে
বোধ হারা হয়ে মরছে।
দশকের পর দশক পেরিয়ে, আজও
ভোট আসে আর ভোট যায়,
দূখী যারা থাকে, দূখের আঁধারেই
বদলায় নাকো হায় হায়।
এখানে আকাশ চুম্বি অট্টালিকা আর
আলো ঝলমলে নগরী,
খিদের জ্বালায় লুট হয় নিত্য
আদিবাসী মেয়ে টগরী।        
একটা পৃথিবী ডলারে-টাকায়
চায় সকলি মুঠোয় ভরতে,
আর এক পৃথিবী রোগে-অনাহারে
বোবা হয়ে পারে মরতে।
ভূখা পেটে আজও শোয় বহু প্রান
মাথা গোঁজবার নেই কো ঠাই,
গরীব আরও নিঃস্ব হয়েছে
জুটেছে হাহাকার আর হায় হায়।
তবু কেনো রাজা, হারিয়ে হারানো
পরাজয় চাওয়া যুদ্ধ?
সাথী হতে স্নহে হাত ধরো রাজা
যুদ্ধটা করো রুদ্ধ।
সবুজাভ হোক মানুষের মন
পরহীতে দিক বিলিয়ে,
ভালোবাসাতে ভরুক ভূবন
হিংসেটা যাক মিলিয়ে।
সেই তো সবার জয় ওগো রাজা
সেই তো দেশের জয়,
সকল মানুষ  স্নেহে হাত ধরে
মুছে দিক পরাজয়।