একতা মন্ত্রে যে ভারতবর্ষ    করতো সুখেতে বাস,
সে ভারতের এক বাটোয়ারা   করে দিলো সব নাশ।
যে ভারতের কৃষ্টি - সংস্কৃতি   আদর্শ বহুত্ববাদ,
এক ভাঙনে সে পরম্পরা   হয়ে গ্যালো বরবাদ।
ভারতবর্ষ গড়েছে সবাই    সবারই সমান দান,
সেখানে ছিল সহমর্মিতা    একতার জয়গান।
এ্কই সমীরণেে হত ধ্বনীত   শঙ্খ-ঘন্টা ভোরে
                                               আজান,
তাইতো প্রশ্ন জাগে এমননে ,  কেনো ভেঙেছিলে সুর -তান?
চতুর বৃটিশ চেয়েই ছিল   ধর্মে ভাঙুক ভারত দেশ,
ভাই ভাইয়ের রক্ত ঝরাক্   বিভাজনে  হোক এ- দেশ শেষ।
সেই ইচ্ছেতে মোহর দিয়ে  , কারা করেছিলো বাটোয়ারা?
দূটি ধর্মের দহন দ্বন্দ্বে    সব আজও দিশাহারা।
আজ পারাপার রক্ত ঝরায়   সে ভুলকে  পুঁজি করে,  সাম্প্রদায়িক বিভেদে লড়িয়ে  তখত রাখছে ধরে।
নেতাজীর গড়া আজাদহিন্দে  ছিল নাকো বিদ্বেষ,
একই প্রতিজ্ঞায় অটল সবাই   স্বাধীন করবে দেশ।
প্রাণ আহুতির সে সস্ত্র যুদ্ধে    শরিক হয়নি যারা
বীর সুভাষকে চক্রান্তের শিকার  করলো তারা।
সে বীর যোদ্ধাকে সরিয়ে সুযোগে  দেশ হোলো বাটোয়ারা,
উদার আলোর ভারতবর্ষ    হোলো হিংসের কারা।
পনেরই আগষ্ট কালা দিবস   কেড়ে নিলো বহু ঘর,
চোদ্দ পুরুষের আপন স্বদেশ  হয়ে গ্যালো চির পর।
আগুন জ্বললো, রক্ত ঝরলো  পতাকা উড়ানো রাতে,
লুন্ঠিত হলো অগুনিত প্রাণ   স্বদেশী লুটেরা হাতে।
তাই তো প্রশ্ন জাগে বারে বার    সে কি ছিলো স্বাধীনতা?
হাত বদলের ছিলো প্রহসন  কাঁদিয়ে এ-দেশ মাতা।
সাত চল্লিশের পনেরোই আগষ্ট  সবার স্বাধীনতা নয়,
ছিল বলিদান, বিদীর্ণ করা    ভারতের পরাজয়।
সেই জ্বালানো আগুনে     আজও ওঠে ঝড়,
সে দাবানলে মরছে মানুষ   পোড়ে মানুষের ঘর।
আজো আসেনি পূর্ণ স্বাধীনতা,    মেলেনি কাঙ্ক্ষিত জয়,
বর্ণভেদ-সাম্প্রদায়িকতা   লেখে আজও পরাজয়।  তাইতো বন্ধু করি অনুরোধ   আর, বিদ্বেষ ভুল নয়,
আমরা মানুষ সবাই সমান,   সকলের আনি জয়।
অযুত কোটির বক্ষে নেতাজী  আজও প্রশ্বাসেে বয়,  হৃদয়ে যাদের সে বীর সুভাষ   তারা পায়নাকো কোনো ভয়।
যে লোভীরা আজও সচেষ্ট   আবারও ভাঙতে দেশ,  দৃঢ় প্রতিরোধে রুখে সে হীনতা   আনবোই উন্মেষ।