এই মেয়ে তুই বুঝিস নে কি
     তোর শরীরে ঘুম পাহাড়,
বিষিয়ে দিতে তোর জলধি
     নষ্ট পুরুষ চাই সাঁতার।
সরল মনে আপন ভেবে
      ধরিস নে রে সবার হাত,
জানিস না তো ঘাপটি মেরে
      কোথায় সর্ববনাশের রাত।
সেই তিমীরে হারাবি তুই
     পুরুষ  কিন্তু ফিরবে ঘরে,
দেখবি তখন তোর চরাচর
    হারিয়ে গ্যাছে অচিনপুরে।
চর্তুতুপাশেই শ্মশান তখন
     ও মেয়ে তুই নিঃস্ব একা,
যারা রে তোর দীপ নেভালো
    আর পাবিনা তাদের দ্যাখা।
এখন প্রহর সূর্য ডোবার
    অন্ধ উথাল স্রোতের বেলা,
সজাগ থাকিস ওরে মেয়ে
    জীবন হারার নয়রে খেলা।
এটাই নিয়ম এই সমাজের    
     মেয়ে কেন তুই বুঝিস না!
যে ভ্রষ্ট পুরুষ সব কেড়ে নেয়
     তাদের কেন যুঝিস না?
এবার মেয়ে জোট বেধে নাও
      প্রতিবাদে বজ্র হও,
বোঝাও পুরুষ অসুর গুলয়
    তোমরা খেলার পুতুল নও।
সেই প্রতিবাদ করে দ্যাখাও
   কেউ যাতে আর হাত না বাড়ায়,
নতূন করে কোন মেয়েই
   আর আধাঁরে পথ না হারায়।
দেখবে তখন রাত প্রহরেও
   একলা মেয়েও চলবে একা,
নষ্ট পুরুষ বদলে যাবে
   আর পাবে না তাদের দেখা।