তুমি আলাদা করে একশো জনকে জিজ্ঞেস করো-
কেউ বলবে না যুদ্ধ চাই।
যে শ্রমিক কারখানায় মেশিন চালায়, যে কৃষক
মাঠে ফসল ফলায়, যে ছাত্র জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে
রোজ কলেজে যায়, তার কাছেও জানতে চাও।কিংবা বাজারের সব্জি বিক্রেতা, ঠেলা ওয়ালা বা
পাবলিক বাসের কন্ডাক্টর কেও প্রশ্ন করে
দ্যাখো-কেউ বলবে না, -হানাহানির
   সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধুক। নির্দোষী মানুষের ঘর জ্বলুক। রক্তে ভিজুক  মাটি।
তবু্ও বারবার অনাকাঙ্ক্ষিত দাঙ্গা বাঁধে।
কলেজ পড়ুয়া দিব্যেন্দু আর মিরাজুল এক
কাপে চুমুক দিয়ে চা খায়। ওরা বিশ্বাস করে
সব মানুষ এক। তবুও সব কিছু কে তছনচ করে
জ্বলে উঠে উন্মত্ত হিংসার লেলিহান দাবানল।
তেমনি আগ্রাসী  যুদ্ধবাজ রাজা আর অস্ত্রের ব্যাপারীর হীন কৌশলে একমাত্র প্রাণগ্রহ আজ
বারুদ স্তুপের। প্রথম -দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরও
ফেরেনি চেতনা।
আজ সমস্ত শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে এক হয়ে
যুদ্ধ বিরোধী ঐক্যে সামিল হতেই হবে।