🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺🔺
উৎসর্গ
প্রিয় পাঠককে। যাদের স্নিগ্ধ হৃদয়ে আমাকে আবাসের জায়গা করে দিল।
সংক্ষিপ্ত মুখবন্ধ
কবিতার নেশাটা আমার আ-কৈশোর ঠিক। ছেলেবেলা কত যে লিখতাম, আর সে-কাগজ দলাপাকিয়ে ছুঁড়ে মারতাম উঠোনে, এ যেন আমার নির্বুদ্ধিতারই চাষ বৈকী। এখন ঢের লিখতে মন চাচ্ছে, এ চাওয়ার অনুবাদ ঠিক কবি হওয়ায় ভাষ্যে নয়, জগতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে
মানবিকতার সুবাস যেন কলমের চিকন ঠোঁট দিয়ে বেরিয়ে আসে, এ লক্ষ্য নিয়ে পথচলা।
আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে চলতে চাই নিরন্তর
-শ্যামল কুমার সরকার।
(কবি, প্রাবন্ধিক, ছড়াকার ও ছোটগল্পাকার)
-----------------------------------------------
সূচিপত্র
১) আবেদন
২) সেই কিশোরে হাসি
ক্রমশ...
-----------------------------------------------
◼️ আবেদন
-শ্যামল কুমার সরকার
আমাকে আমার গ্রামে দাও না পাঠিয়ে!
আগামী পরশু সেই শাপলা পাতার
উপরটায় আমি শুয়ে পড়ে চাঁদফুল দেখব মাথা উঁচিয়ে।
ভাসাঢ্যাপ জড়িয়ে যাবে শরীরে আমার!
আমি হাত দিয়ে নাই ছাড়ালাম ওই ঢ্যাপদানা
গায়ে লেগে বেশ সাজে সাজাবে বুঝি, তো?
আমি ওই সাজ চাই বারবার, সোনা!
ঘুমের ভেতর গন্ধ দেবে সাদা শাপলারা যতো।
বাতাসে ভাসবে সত্যি তোমার মাথার এলোচুল
আমি চোখ মেলে দেখি চুলজড়া মুখে তুমি, সে-তো ভুল?
নিঃশ্বাসে বাতাস ছুঁবো না দেখো, সংযমে অস্পৃশ্য যে!
নিরিবিলি যদি তুমি প্রকৃত করতে পারো; প্রকৃতি নয় কখনো বাজে।
◼️সেই কিশোরের হাসি
-শ্যামল কুমার সরকার।
একটা কিশোরমুখ সাদা হাসি তার,
কত না পুণ্যাভা সত্যি লুকিয়ে রয়েছে ওইখানে,
স্নেহে-প্রেমে-হৃদে একাকার!
গোলাপের দল যেন ঠোঁটে-বুকে-প্রাণে!
জ্যোতিষমান সে কত বড়ো হবে জানি,
শুদ্ধতার স্নানে পূতঃবোধে তব মুখখানি!