বনশ্রী স্নেহল কন্ঠে আমাকে বলল, "আমি যেন
তোমার নিকটে থাকি বহুকাল।"
তার সে-নিষ্পাপ আলোভরা চোখে - এই চোখ কেন
রাখিনি তাই সে রেগেমেগে ঢিমেতাল!
অবশেষে ক্ষমা পাই একটি কথায়:
তার বুকফাটা ভালোবাসা যেন শুনি নীরবে নিভৃতে আমি,
আমি তার পাশ ঘেসে বসিনু সেথায়,
মনে পড়ে - সেই তার কত ছ্যবলামি!
আমার মাথার 'পরে হাত রেখেছিল,
আমি যেন রোদে পুড়ে না-হই কালচে।
কত না প্রেমল ধারা, নিঃশ্বাসে প্রেমের অনুপাত।
বুক ভরে আমি তার নিঃশ্বাস সবচে
স্নিগ্ধ অনুভবে সেইদিন শ্বাসে নিয়েছিলাম।
বনশ্রী বলল, "আমার নিঃশ্বাস যে তোমাকেই দিলাম!"
মনে রেখো,  এইবায়ু তোমার যে-প্রাণ
প্রেমের আশ্রয়ে শুধু - তোমার বুকেই পাই যেন, হৃদস্থান।
এমন রমনী আমি দেখিনি যে আগে,
বুকের বাতাস সে তো আমাকে বিলায়।
সেদিনের ভালোবাসা আজো প্রাণে খুব জাগে!
মনে করি, সেইপ্রেম স্বর্গতে মিলায়।


বনশ্রী দাস তার মৃত্যুর সমুখে।
তার বায়বীয় প্রেম ছাড়া আমিও যে সত্যি মৃত্যুমুখে!


সে যেদিন হবে গুপ্ত,
আমার এ প্রাণ ঠিক তখন বিলুপ্ত!