◼️১
থানকুনি
-শ্যামল কুমার সরকার।
গোলাকার পাতা তার
থানকুনি নামটা,
পল্লীতে মেলে খুব
বেশ কম দামটা।
মাঠে-ঘাটে পদতলে
দেখা মেলে ঢের যে,
এর মাঝে কীবা আছে
জানে যে, সৎ সে।
ভর জীবন খাও ভাই
এ নামের পাতাটা,
মেধাটা যাবে বেড়ে
মনে রেখো কথাটা।
টক্সিন হবে বের
দেহ হবে চাঙ্গা,
অসুখের বিরুদ্ধে
করে যাও দাঙ্গা!
২)
◼️ লেবু-কলার ঝগড়া
- শ্যামল কুমার সরকার।
বাধলো ঝগড়া লেবু-কলায় মারামারি ঢের
কান্নাকাটি কানফাটানো বাগবাগিচাদের।
কথায় কথায় কলাবাবু ভেঙচিকাটে দাঁত,
লেবুমনি মুখ বাকিয়ে করছে প্রতিবাদ।
যাক্ রে বাবা! বকবকানি একটুখানি চুপ।
ও-মা-রে ! এই যে আবার চোখরঙিয়ে লেবুমনি খুব
গালির পরে দিচ্ছে গালি রাগপাকা টুকটুক!
কলাবাবু রেগে বলে, লেবুবুড়ি শোনো-
"মাইন্সে তোমায় খায় চিপরাইয়া লজ্জা নাই কেন?
আমারে সাথে করলে ওসব মরতাম ডুবে যেন!"
লেবুমনি লজ্জাহীনে চিৎকার দিয়ে বলে,
"মাইন্সে তোমায় করে ন্যাংটা খোসাফেলার ছলে।
মরতাম আমি; সেই দিনেই - ওমন কিছু হলে!"
ঝগড়াশেষে দুজন মিশে বলে একে অন্যে,
"রাগের কথা মন্দ অতি, রাগ ছাড়ো সেজন্যে।"
৩)
◼️
পাখিবন্ধু
শ্যামল কুমার সরকার
আজকে আমি পাখির সাথে
উড়তে যাব আকাশে,
এগাছ থেকে ওগাছেতে
ফুড়ুক্কে উড়ি বাতাসে।
পাখি আমার কতো ভালো
নিয়মমতো চলে সে,
হাতে নিয়ে ভোরের আলো
ডেকে ডেকে সে আসে।
আমি বলি," এত ভোরে
উঠো কেন, ও পাখি?"
পাখি বলে, সকাল বেলা
জাগার জন্য তো ডাকি"।
৪)
◼️
সানন্দে উঠবো মেতে
শ্যামল কুমার সরকার
জমবে তাদের স্বাদের খাবার
পরবে ঈদের জামা,
আমরা থাকি ধুলিগায়ে
দুঃখের ওঠানামা;
রাস্তার উপর খোলা আকাশ
সেথায় থাকি রোজ,
ক্ষুধার পেটে ফিরোজ রোজায়
পাই না কভু ভোজ;
ঈদের দিনে দাও না মোদের
ভালো কিছু খেতে,
নতুন জামা দাও যদি কেউ৷
উঠবো শুভে মেতে।