ফিলিস্তিনে গুলিবিদ্ধ রক্তমাখা শিশু আমি,
চোখে আমার ক্ষুধার আগুন ক্ষুধায় যেন মৃত্যুকামী।
এত আঘাত সইতে নারি বুটে পিষ্ট গ্রীবা আমার,
আছড়ে ফেলা গতর আমার রক্তমাখা
ভেজা জামার।
কী অপরাধ নিয়ে ধরায় জন্মেছিলাম কুক্ষণে যে,
মৃত্যুভয়ে হৃদপিণ্ডটা হিম হয়ে যায় এ অন্যায্যে!
বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষ বুঝলো কেবা আমার ভাষা?
জেরুজালেম ধরছে আজি রক্তবীজের মৃত্যুচাষা।
স্বপ্ন ছিল - ধরার বুকে হব দোসর আমি সবার,
অত্যাচারে শোণিতস্নান 'প্রহার' হলো খাবার আমার।
মাতা আমার বলেছিলেন, " হাবিব নামটা রাখছি তোমার,
বিশ্ববুকে বন্ধুত্বতে রাখবে সদাই নিজেকে তোমার।
বুকের পাঁজর দিয়ে হলেও বাসবে ভালো সকল জীবে,
এক-আল্লাহে বিশ্বাস রেখো সত্য যেন যায় না নিভে।
মায়ের কন্ঠ ভাসছে কানে, চোখের সামনে পশুর মতন
মাকে আমার নগ্ন করে মারছে ওরা দেখছি তখন।
'আম্মু' বলে ডাক দিতেই আমার বুকে লাগল গুলি,
রক্তধারার ফিনকিগতি দেখছেন মা যে রক্তধূলি।
পায়ের তলার শুকনো বালি রক্তে ভিজে মাখা মাখা!
মা তো আমার দেখেই তখন আঁচলচোখে দিচ্ছেন ঢাকা।
বিশ্ববাসী, প্রশ্ন শোনো - কোন্ পাপেতে শিশুর মরণ?
রক্ত আমার বলছে, "হাবিব,  বিশ্বজনের কেমন ধরন?
শিশুকণ্ঠের আর্তী আজি শুনছে না যে কোনো গুণী,
চিত্ত আমার চিৎকারে কয়, " হাবিব" অর্থ নিও শুনি!
আমার বুকের গুলির আঘাত মৃত্যুডাকের রক্তধারা,
"হাবিব " নামটা মায়ের দেয়া, মা-যে আমার সকলহারা!