পথের ওপাশে যে মেয়েটি সারাদিন  ধূলি গায়ে থাকে,
উসকো খুসকো যার চুলে ধূলা, উন্মাদ বলি যাকে,
পরনে নোংরা কাপড় গন্ধে ভরা পুরো গাও যার,
উদাসীন চোখ সবাইকে দেখে মানসিক রোগ তার।
এমন স্বল্পবয়সে, মেয়ের আহা মানসিক-ভার!


কে বা দেয় ওরে খাবার-দাবার কোথা ঘুমায় এ খুকি?
পাগল বলে তো সবাই তাড়ায় কত না বাঁচার ঝুঁকি!
রাস্তার নেড়ি কুকুরের সাথে যুদ্ধ করে যে হবে খেতে,
সে যে একা একা কতকথা বলে, পথে যেতে যেতে!একদিন দেখি পথে শুয়ে আছে; খায় পঁচা বিরিয়ানি,
সে বিশ্রী  গন্ধ, আমি ভাবি কত কষ্ট তার না জানি!
চোখে জল চলে আসে ভাবি কত কঠিন জীবন ওর।
কে আছে মা-বাবা কেউ যে খোঁজে না জীবনে আঁধার ঘোর!
ওরে ভালো করে দাও রে, হে খোদা, সে প্রর্থনা মোর।


হঠাৎ সেদিন পত্রিকা পাতে দেখি ওর সে রুগ্নদেহ;
অজ্ঞান বলে হসপিটালের বেডে, দেখে যদি কেহ..
পত্রিকা হাতে আমি পড়া শুরু করে তো অবাক আমি
এ মেয়েটি নাকি অন্তঃসত্ত্বা, এ কেমন বদনামী!
হে নষ্ট যুবা! ব্যভিচার আর কতটা চালাবে বল!
জগৎটা আজ ধ্বংসের পথে জেনো, খোল চোখ খোল!
আমি নারী বলে এই চিৎকার শুনো না পুরুষজাত!
নারী-ধর্ষণ আর কত সয়ে কেটে যাবে কালরাত!
ধর্ষিতার এ পেটের পুত্রে কেউ দেবে কী রে ভাত!


কী হবে এমনি অপরাধ-ধারা,  কে দেবে পোষণ, শুনি
এই বংলাকে বলো ধর্ষণমুক্তি দেবে কী, গুণী!
হে আইনজীবী, দম নিয়ে  বল, পাগলি কী ন্যায় পাবে?
নাকি ও পাগল বলে এভাবেই পাগলাজীবনে যাবে!
উত্তর তুমি দেবে না তো জানি, তাই স্রষ্টাকে বলি,  প্রভু!
আমরা নরীরা নই কী সৃষ্টি, কেন অবিচার, বিভু!


সকাল, ৬ মে,  ২০২১ খ্রিঃ
দঃ মান্দাইল, ঢাকা।