সেদিন ভয়কে দেখলাম খুব কাছ থেকে
কয়েকজন পৌড় লোকের চোখ, মুখ,
শরীরের ভঙ্গিতে।
আমি খানিকটা ভয়কে আটকাতে চাইলাম
তোমাকে বুকে জড়িয়ে, বিকেলে
মেট্রোরেলের কামরায়।


আমার হৃদপিণ্ডটা দুমরে, মুচড়ে যাবার আগে
তোমাকে চুম্বন করেছিলাম
সবাইকে লুকিয়ে।
আসলে তাদের অভিশপ্ত হাত যখন প্রসারিত হচ্ছিল
তোমার বুক ছুয়ে নিতে
আমি প্রতিবাদ করেছিলাম, প্রেমের স্বাধীনতা চেয়ে।


তাদের খারাপ লেগেছিল, প্রতিরোধের চেষ্টা
টেনে হিঁচড়ে ওরা যখন আমাদের নিয়ে চলল
ভয় পেয়ে ছিলাম।
সমষ্টি স্বাধীনতা আছে, সমাজের নীতি পুলিশ বেশে!
চড়, লাথি, ঘুষি খুশিতেই চালালো ওরা
গনধোলাই চলেছিল, মানবতাহীন শব্দটির আবেশে, ভয় পেয়েছিলাম।


পাথরের মতো নির্বাক আর অবাক পরিণতি
আমাদের অব্যক্ত ব্যাথা, কেমন করে বদলে গেল রাতারাতি!
পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জল যে তোমার মুখখানি
পাহাড়ি উচ্ছল ঝর্নার মতো তুমি ছিলে কল্ললিনী।
ভোরের আলোয় পাখিদের কলরব শুনছে কি তারা?
বিধ্বস্ত-হতাশ করে দিয়ে এজীবন জোড়া।


আগামীর ভয়হীন বিকেলে, মেট্রোরেলে
আমরা আবার কবে আসব জানিনা।
নীতি পুলিশ সাজতে চাওয়া পৌড়দের
আর ভাল লাগে না।
আমাদের বাবা, কাকারা তো তাদেরই সমবয়সী!
তেজস্বীতাই-তাইতো সীতার জীবন জনমানসেও পেয়েছিল ভয়।