কয়েকটি ছাগল, বেশ কিছু লাল মোরগের দল, খামার বাড়ির পাঁচিল।
কিছু পোষমানা বিদেশী আদব কায়দার কুকুর, প্রহরী তারা!
দিনের তারা আর রাতের তারাদের সমষ্টির মাঝে, বেঁচে থাকে প্রভুর প্রাণ।
আগুন নদী সমাজ, উল্কা পিণ্ড থেকে ঝরে পরা মানুষ গুলি প্রভুর দল।


আমাকে আসলে সেই ছাগল প্রজাতি বলেছিল, যাদের দর্শনে দাঁড়ি আছে!
মানুষ রুপি প্রভুরা, আজ আমাদের সম্প্রদায়ের প্রতি দয়াবান।
আমাদেরকে এখন আর খুব বেশি হালাল করা হয় না, প্রভুর খাদ্য রুচির জন্য!
আমাদের প্রজননও বন্ধ, আমাদের খাদ্যেরও বরাদ্দ হ্রাস হয়েছে।      


আমাদের সহ আবাসিক লাল মোরগের দল, তাদের শরীর ঈর্ষার মত!
কম দামে বেশি পুষ্টিকর, খাদ্য সয়াবিন বড়ির মত পর্যাপ্ত, তাদের জন্য থাকে।
আসলে মালিকের ছাগলের মাংসের থেকে মোরগের মাংসে রুচি পরিবর্তন হয়েছে।  
তাদের নায়িকার শুন্য ফিগার আর আমাদের অনাহারে থাকা দেহের তুলনা পছন্দ।


মোরগদল সাচ্ছন্দে যে খাবার খায় তাতে আমাদের সাচ্ছন্দ অনুভূত হয় না।
যেহেতু প্রভুর সূরা থেকেই বেশি আয় তাই, খাদ্য বাঁচিয়ে সূরা পান করাতে প্রভু চেষ্টা করেন!
প্রভুর ইচ্ছা এই ছাগল প্রজাতির শেষ সদস্য হিসাবে মিউজিয়ামে আমাকে রাখা।
যারা মরে মরুক এভাবেই আমাকে বেশিদিন বাঁচতে হবে। বাঁচব তো?


মোরগ গুলিকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখা হবে, এবারের পঞ্চবার্ষিকীতে তাই আছে!
আগামি দিনগুলিতে সবুজ ঘাসের গালিচায় জুতাহীন প্রভুর পায়চারী, আর
প্রেম, আবেগ, অনুভুতি থেকে দূরে মরুভূমির বুকে সবুজ মরূদ্যানে মুক্ত মোরগ পাওয়া যাবে
আমি তো তখন পাথরের চোখদিয়ে দেখব, আমার ছালের ভিতর খড়কুটো ভরা শরীর নিয়ে।