(যে পাঠিকার এই দীর্ঘ লেকচার সহ্য হবে না তাকে অনুরোধ করা হল শেষ স্তবকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য)


সভ্যতা শুরুর অনেক আগে থেকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছি,
ইতিহাসের পাতায় পাতায় আমার পদচিহ্ন।
আমিই সেই ইতিহাসের প্রথম শাসক, হাম্মুরাবি!
পাথর খোদায় করে লিখেছিলাম শাসন ক্রিয়া
নারী তোমাকে করেছিলাম পুরুষের থেকে আলাদা।
আমিই সেই নৃশংস ধর্ষক শাসক, চেঙ্গিস খাঁ !
আমি সেই রাবন
যে বোনের আবদারে তোমাকে করেছিলাম হরণ।
আমি সেই বানর সন্তান
তোমার জন্য অসম্ভব সেতু করেছিলাম নির্মাণ।
আমিই সেই কল্কে-হাতি শিব, যে
তোমাকে নিজের বুকে দিয়েছিলাম দাঁড়াতে।


তোমার জন্য কড়া পড়া হতে রচনা করেছিলাম যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন,
বইয়ের পাতাতে আমরা হয়ে গেলাম সমান সমান।
মনে পড়ে তোমার -
অমরাবতীর পাড়ের সাদা ধুতি চশমা পরা ছিমছাম মানুষটাকে?
চিনতে পারো নামগুলোকে -
বিদ্যাসাগর, রামমোহন, লালন, রবি...
মনে পড়ে? মনে পড়ার দরকার নেই নারী
তুমিও তো মানুষ।
মানুষ যা কিছু মনে রাখে
তা রাখে শুধু প্রতিশোধের জন্যে।


তেমন আমিও মনে রেখেছি-
ভাওয়াল রাজবাড়িকে!
মনে রেখেছি...
মনে রেখেছি গঙ্গার মত মাকে -
যে নিজের পেটের সাত সাতখানা ফুটফুটে বাচ্চাকে
দিয়েছিল মুক্তির পথ!
আর তুমি এসেছো আমাকে ওভাররেটেড মাতৃত্বের গল্প শোনাতে।
সতীর ভালোবাসার কথা অন্য কাউকে বলো-
আমি জেনে গেছি গয়নার বাক্সের গল্প।
ঘেন্না লাগে...
এমনকি মা ডাকেও মাঝে মাঝে ঘেন্না লাগে!


অনেক হয়েছে প্রেয়সী নারী-
আইনি ভালোবাসা আর না, এবার সাম্য চাইছি!
কলম্বাস মনা পুরুষের মন চায় শুধু নাঙর বাইতে আর বাইতে...
যাবার আগে কানে কানে কিছু কথা বলে যাই-
বিশ্বাস করো-
একলা থাকতে আমারও ভালো লাগে না,
যদি পারো একসাথে চলো।
বুঝতে শেখো-
সব বাদ'ই সুবিধাবাদ
সব বাদী'ই সুবিধাবাদী।
আর মনে রেখো -
তোমাকে খুশি করা ছাড়াও,
চরিত্রহীন পুরুষের কাজ থাকে আরও।