তুমি কি জানো-
কত তৃষ্ণার্ত হৃদয় আমার?
ক্ষত-বিক্ষত আমার এ হৃদয়?
জীবনের পরতে পরতে,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অজস্র দুঃখ-
বেদনা ঝড়া পাতার মতো।
হৃদয় হরণ করে
হদয় চিড়ে
আবেগের রক্ত ক্ষরণ করার সীমাহীন চিহ্ন আছে!
খুঁজে দেখো।
পেতে খুব কষ্ট হবে না, প্রিয়।


বাইরের সাজানো, চাকচিক্যের এ আমি….
ভেতরে কি এলোমেলো!
কি পরিমাণ বিধ্বস্ত-
বুঝতে তোমায় দেইনি কখনও।


আজ প্রভাতের নব গগনে-
সোনালী আভা মেশানো সূর্যোদয়ের দুর্নিবার ঔজ্জ্বল্য-
হদয়ে আমার সঞ্চার করছে সাহস।
আমার হৃদয় আর্তচিতকার করে উঠছে
বারংবার, বার বার।
জিইয়ে রাখা অনাদিকালের দুঃখ- যন্ত্রণা
ক্লেদ আর হতাশার
অক্ষয়, অব্যক্ত কথাগুলো বলে দিতে
হৃদয় আজ চাইছে খুব!


নয় আর লুকিয়ে রেখে শান্ত থাকার সুনিপুণ অভিনয়!
নয় হাসি তামাশার ছলে
অনুপ্রেরণার বড় বড় নিষ্ফল বুলি।
নয় আজ আর চুপ করে থাকার পুরানো প্রয়াস!
তোমায় আমি আজ সব ব্যক্ত করে দেবো-
দেখিয়ে দেবো হৃদয়ের অন্ধকার কুঠরিতে রাখা নির্মম স্মৃতির পাতাগুলো
এসো তবে,
তোমার অজস্রবার জিজ্ঞেস করে ক্লান্ত হবার দিনের
পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে, এসো।
এসো শুনে যাও, দেখে যাও
হৃদয়ের ক্ষত-বিক্ষত ডায়রীটা।


মলাটে তার দেখতে পাবে
জীর্ণ, খন্ডিত – বিখন্ডিত, ক্ষত বয়ে বেড়ানো
রক্তাক্ত হৃদয়ের ছবি।
প্রতিটি পাতায় তুমি দেখতে পাবে-
কেবল দুঃখেরই ডালি সাজানো আছে সমস্ত পাতা জুড়ে।
আছে ক্ষনিকের মিথ্যে ছলনা,
ঘৃণা আর আপমানের কালিমা দিয়ে আঁকা
বিষাদের করুণ আল্পনা।
খুঁজে পাবে, স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনায় কাটানো
তমসাচ্ছন্ন বহু রজনীর কাব্য!
দেখতে পাবে,
একাকীত্ব আর অসহায়ত্বে যুগলবন্দী নিঃশেষ অন্ধকার।


এত দিনের সংকোচ ঘুচিয়ে-
আজ আমি সত্যিই চাইছি
তুমি জেনে নেও-
কি ব্যাথা আমি লুকিয়ে চলেছি চিরটাকাল।  
তুমি পড়ো আমার হৃদয়ের গোপন, শীর্ণ ডায়রীটা।
তোমার চোখে আজ আসুক অঝোর প্লাবন।