কুয়াশার চাদর সরিয়ে,
সোনালী রোদ্দুর এসে পড়েছে তোমার মায়াবী মুখ খানিতে !
কি অপরূপ মায়া লুকিয়ে আছেগো তোমার মাঝে?
আমি যে তাকিয়ে আছি অপার মুগ্ধতায়!


তুমি যেনো আজ এক চঞ্চলা কিশোরী!
কথায় কথায় বার বার হেসে উঠছ!
জলতরঙ্গের মতো তোমার দেহখানি কেঁপে উঠছে হাসির মাঝে!
আমি তা দেখে যেন চলে যাচ্ছি অন্য কোন ভুবনে!
তোমার মিষ্টি স্বরে সুমধুর সংগীত আচ্ছন্ন করে তুলছে আমায় !
চারিদিকে কত মানুষ! কত পাখির কলতান!
সবার কণ্ঠে বুলি ফুটছে!
অথচ আমি যে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রই কেবল তোমারি পানে!


কিসের এত আনন্দগো তোমার মনে?
এত উচ্ছ্বল কেনোগো তুমি আজ?
মনের মানুষের দেখা পেয়েছো নাকি?
বল! পেয়েছ নাকি?


যদি পেয়ে থাকো, তবে আজ তাকে নির্দ্বিধায় জড়িয়ে ধর!
সেও যে প্রতীক্ষায় আছে!
তোমায় আজ জড়িয়ে নেবো নিবিড়ভাবে!


বলেছিলো সে তোমায়,
সূর্যের আলো হয়ে বার বার সে আসবে তোমার কাছে!
তোমাকে নিজের আলোয় সে আলোকিত করবে!
সবুজ ঘাসের মত সুশোভিত হয়ে,
সে ছড়িয়ে থাকবে তোমার সবকিছু জুড়ে!


সে এসেছে দেখো!
তাকে আজ নিজের মাঝে মিশিয়ে একাকার করে নেও!
তোমার ভালোবাসার মাঝে সে নিঃশেষে হারিয়ে যাক!
যেন তাকে কেউ দেখতে না পায়!
যেমন করে দেখা যায় না কিছু
শীতের প্রভাতে, কুয়াশার চাদর ভেদ করে!