পড়ন্ত বিকালের রোদ ঝলমল করছে ঐ কৃষ্ণচূড়ার মগডালে।
বহুদূর থেকে আমি
তাকিয়ে রয়েছি তার পানে!
রোদের ঝিলিকে আমার বুকের ভেতরটা ভরে আসে ভালোবাসায়!
স্বপ্ন কল্পনার এক আবেশ তৈরী হয় যেন!
অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতে থাকতে মনের গভীরে চঞ্চলতা জেগে ওঠে!
কল্পনার দৃশ্যপটে ভেসে ওঠে দিগন্তজোড়া ক্ষেত......
তুমি দৌড়ে ছুটে চলেছ খালি পায়ে মেঠোপথ দিয়ে!
তোমার পিছনে আমিও ছুটে চলছি!
সেই পড়ন্ত বিকেলের রোদ এসে পড়ছে
তোমার- আমার গায়ে!
বাতাসের ধাক্কা এসে লাগছে আমার বুকে!
আমার উচ্ছ্বাস যেন আরো বাড়ছে!
তোমারও যেন চঞ্চলতা আরো বেড়ে গেছে!
হঠাৎ আমি তোমাকে পেয়ে যাই!
তরুর ছায়ায় তোমাকে নিয়ে বসে যাই।
দুদিকের বিস্তীর্ণ জমিতে তুমি আর আমি
গলা ছেড়ে গেয়ে বেড়াই।
তোমার মুখের হাসি যেন
ঐ সূর্যের মত আলোকিত!
তার আলোয় আমার হৃদয় ভরে আসছে!
তোমার মাঝের হারিয়ে যাওয়া কিশোরী হঠাৎ ফিরে পায় নিজেকে!
তোমার অশান্ত যৌবনের দাম দেই আমার ঠোঁটের ছোঁয়াতে।
তোমার নোনতা ঠোঁটের স্পর্শ আমার দাম গ্রহণ করে।
চারিদিক শূন্য গ্রাম বাংলার মাঠে আমরা খুঁজে পাই
আমাদের সোনালী ভালোবাসাকে।