আকাশনারী জিনিয়া এসে নিয়ে গেলো মোরে
বিস্ময় জাগানিয়া কোনো এক মরুদ্যানে
বিমল নরম আলো দুলদুল ঘোড়ার খু্রে ছন্দ ,
সবুজ পায়রা ওড়ে হরিতকি বনের সন্ধানে
মায়া হরিণীরা এসে ভিড় করে যেইখানে
বিরল সরোবর নীল উৎপল ভরা ,
পাহাড়ের গা বেয়ে জল ঝরে
নূপুরের শব্দে স্ফটিকের মত জল ;
বেহালার ছড় টেনে আরো কাছে টেনে নেই তারে
আকাশনারী জিনিয়াকে !


জিনিয়া পাথরে ফোটায় আনারের কলি
জমরুদ পাথরের পেয়ালায় মেখে হলুদ রেণু
ঢালে ডালিমের রস ;
চেপেধরে ঠোঁটে বলে পিয়াও অনন্ত যৌবন !


অরুনিমা বসে থাকে দক্ষিণ অলিন্দে
উথাল-পাতাল, বসে থাকে প্রতিরাতে ;
জিনিয়া সবই জানে ।
সকাল-বিকাল বেশ কাটে অরুনিমার সাথে
ওর সরু সরু আঙ্গুল খেলা করে বীণার তারে
সারেঙ্গী হয়ে তার বাজাই আবোল-তাবোল !


        ২
কুপির কালিতে ফোঁটা তেল মেখে
অরুনিমা স্বপ্ন অঞ্জন আঁকে দুইচোখে,
চোখ তার ভারী ভারী ভেজা ভেজা
মায়াবী হরিণী
হরিতকিবন যেন স্বর্গপূরী !


নির্জন পুকুর ঘাটে অরুনিমা
বসে থাকে আলতা রাঙা পা
ডুবায়ে ফটিক জলে
ঢুলুঢুলু চোখে তাকায় গভীর আবেগে
ঠোঁট দু’টি কাঁপে তার মৌন কামনায়
আধজড়ানো নরম সুরে বলে –
‘একটা লাল গোলাপ দাও ;
অনন্তকাল তুলে রাখব
পরম যতনে বুকের অলিন্দে’ !


আকাশনারী জিনিয়ার শক্ত হাতে ধরা
লোহার খাঁচায় সবুজ পায়রা করে ছটফট !