আশ্চর্য প্রদীপ জ্বেলে রাতের আকাশ
ডাকিতেছে তোমাকে আমাকে –
আজ স্বর্গের দুয়ার গিয়াছে খুলিয়া
অবারিত সুখ লুন্ঠনের তরে,
শরাবনত্বহুরা সমুদ্দুরে তুলেছে ফেনা
পিয়াও আঁজলা আঁজলা ভরে !


এমন আশ্চর্য সুন্দর রাতে
কান্নার রোল বাজিতে বারণ  –
তবুও নীরব অশ্রু ঝড়িছে  কাহার চোখে আজি
শোকপুষ্প লয়ে হাতে নিভৃত গৃহকোণে !
সে কী নারী ?
কী তাহার ব্যথা এতো ?
কেনো কাঁদিবে সে এমন আশ্চর্য রাতে ?
কেহ কী পারেনা হাত ধরে তার গৃহকোণ হ'তে
আনিতে আঁধার প্রাচীর ভেঙে আলোকিত উদ্যানে !


কেনো তবে এই বিশাল আকাশ,
অবারিত জলসিন্ধু সাগর মহাসাগর
সংশয় সংকীর্ণতার স্থান এখানে কোথায় !


পাথর সময় ভেঙে
সভ্যতার নগর স্থাপিত হয়,
শেকল ভাঙা আদিম বাসনায়
অতীত ফিরিয়া আসে বর্তমানে
বর্তমান চলে যায় দূর অতীতে !


নক্ষত্রেরা জেগে উঠে আকাশের গায়
আশ্চর্য সুন্দর আলোকিত সন্ধ্যায়
তবুও যে কাঁদে নারী
কাঁদে মানব সন্তান !
চাঁদ তারা সূর্য সবকিছু মিথ্যে প্রতিপন্ন হয় ;
আশ্চর্য সুন্দর রাত – আলোকিত উদ্যান
                         হয়ে যায় ম্লান !
কেবল অস্থির সমেয়র বুকে স্বপ্ন থাকে
                               থাকে কাঙ্ক্ষা –
সাহসী পুরুষ একদিন  আঁধার প্রাচীর ভেঙে
ধুলির ধরায় স্থাপিত করবে আলোকিত লোকালয় !