নিকটাত্মীয়ের মত চাঁদ কী কখনো
পৃথিবীর কাছাকাছি নেমে আসে!
হয়তো আসে, হয়তোবা আসে না।
জানি না সঠিক, দেখেছি কেবল
সাগর মহাসাগরের বুক একবার
স্ফীত হয়ে ওঠে আবার চুপসে যায়।
আমাদের হৃদয়ও কি আন্দোলিত হয়?
জানা নেই, অনেকটা দুর্বোধ্য ব্যাপার।


জলপদ্মের সাথে একটা মধুর সম্পর্ক আছে
চাঁদ নেমে আসে জলে নিজেকে উজার করে
এত্তো এত্তো জলকমল ফোটাতে।
প্রকৃতিকে মাতিয়ে তুলে অঢেল জোছনায়
জোনাক পোকারা অভিমানে ফিকে হয়ে যায়।
পরমার থুতনি ছুঁয়ে প্রেমিক পুরুষ গদগদ,
আদুরে গলায় বলে চাঁদবদনী আমার!


চন্দ্রালোকে শোকাহত হই...


সোহাগ রাতের শেষে দেখি
সেই নারী অচ্ছুত হয়ে পড়ে থাকে
বাঁশবনের আড়ালে নিথর দেহে।
আকাশ থেকে চাঁদ পালায়,
জোনাক পোকারা লাজে মরে
ঘোর অমানিশা নেমে আসে পৃথিবীর’পরে!


হুতুম পেঁচার বুকে ব্যথা জাগে, ঘাড় বাঁকা করে
একবার তাকায় আকাশের চাঁদের পানে
আর একবার তাকায় বাঁশবনের নীচে
তারপর উড়ে যায় কীর্তিনাশার দিকে!