নীলিমার নীল গলে গলে চাঁদের শরীর বেয়ে
নীল জোছনা পড়ছে লুটায়ে
গাছের পাতায়, লতায়, সবুজ ঘাসে
অঢেল জোছনায় গিয়েছে ভরে চরাচর!


এমন আশ্চর্য সুন্দর রাতে সে কোন
হৃদয় হীন পারে নিজেকে পুরে রাখতে
লোহার খাঁচায়! পারিনি আমিও!
সবুজ মাঠে হাঁটুগেড়ে আঁজলা আঁজলা ভরে
করে নেই পান অমিয় নীল জোছনা
মহুয়ার নীচে বসে!


রঙিন রঙিন প্রজাপতির মেলা বসেছে
বুনো ফুলে ফুলে
ওরা সব হয়ে গেছে  আজ নীল প্রজাপতি
চোখ কী ফেরানো যায়!


কিছু চামচিকা ওড়ছে আর বসছে
কলার মোছায় হুটোপুটি খেয়ে খেয়ে।


উৎফুল্ল পেঁচা রয়েছে বসে ডালে চুপচাপ
জাগেনি বুকে ইঁদুর শিকারের সাধ
শুধু ঘাড়খানি বাঁকা করে
আড়চোখে নিয়েছে দেখে আমারে একবার,
মৃত কোনো ইঁদুর ভেবে বার কয়েক
কর্কশ স্বরে ওঠেছে ডেকে, তারপর চুপ।


কাঠালীচাঁপার ঘ্রাণ নাকে সুড়সুড়ি জাগালে
ঘাড় ঘু্রালাম এদিক সেদিক
কোথাও কোনো নীল পরীর দেখা পাওয়া গেল না।
কানের কাছে মুখ এনে কোনো এক নারী কণ্ঠ
বলে গেল নরম গলায়- ‘খানিকটা পরে পূবে
দেখা দিবে ধবল আকাশ, এবার ফিরে যাও...’!