বাঙ্গালীর বিষাদিত ইতিহাস শুরু করা যাক
পাকভারতে ব্রিটিশ শাসন আমলে সিপাহী যুদ্ধ দিয়ে
যেই সব বাঙ্গালী শহীদ বীর সেনাদের হত্যা করা
হয়েছিল বাঙলার মাটিতে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে
শহীদের স্মৃতি ফলক ঘিরে গড়ে উঠেছে ছোট্ট একটা পার্ক
নাম ভিক্টোরিয়া পার্ক, সে এক মহা বিস্ময়!
তারপর ১৭৫৭ সাল, পলাশীর যুদ্ধে বাঙলার
স্বাধীন নবাব এর পতন এবং নির্মম হত্যাকাণ্ড;
বাঙলার মাটিতে প্রথম জন্ম মীরজাফরের।
১৯৪৭ সাল, বাঙ্গালীর কলিজার দুই ভাগ!
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি
মায়ের মুখের ভাষা রক্ষায় শত তরুণের
বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত!
১৯৬৯, আসাদের রক্তের উষ্ণতায় গণ অভ্যুত্থান!
১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের কালোরাতে
পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর ভয়ঙ্কর গণহত্যা!
১৪ই ডিসেম্বরে নির্মম ভাবে বুদ্ধিজিবী হত্যা!
দীর্ঘ নয় মাসে তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তবন্যা
আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়
অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা হল
সোনার অক্ষরে! এখানেই শেষ...
১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট
বাঙালার মাটিতে মীরজাফদের পুনর্ভব
নজির বিহীন হত্যাকাণ্ড,
জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যাকরা
বাঙ্গালী জাতির শেষ কলঙ্কিত ইতিহাস!


(মীরজাফর বলতে বিশ্বাসঘাতক বুঝানো হয়েছে)