মাসে অগ্রাহায়ন, বাঙলার চাষীগণ
ঘরে তুলে নেন সকল সোনার ধান!


নাড়াবেয়ে ওঠে কলাইয়ের লতা
সবুজে সবুজে ঠাসা মাঠ আর মাঠ
ফোটে ফুল যেন নীল পারিজাত
সোনালী সূর্য হাসে শিশিরে মুক্তাসম
মাটির অপ্সরী কিশোরীরদল বসে
সারি সারি নরম সবুজ গালিচায়
শিশির ঝরার আগে সরু সরু আঙুলে
খুঁটে খুঁটে নেয় নরম নরম ডগা
একহাতে ধরে রাখে পেখমের মত
কে কতোটা বেশি তুলে নিতে পারে
অহিংসক নিরব প্রতিযোগিতা চলে
কতো কথা বলে আর খিল খিল হাসে
আঁচলে বেঁধে শাক বাড়ীর পথ ধরে
কুয়াশার জাল ছিঁড়ে মধুর আবেশে!


যাদু হাঁটে আগে আগে আমি পিছে পিছে
হাঁড়িভরা খেজুরের তাজারস হাতে ধরা আছে
ধুঁয়া ধুঁয়া কুয়াশায় ঢাকা পথ সাবধানে চলা
কোনোভাবে খেলে আছাড় রসে গড়াগড়ি!


মা-চাচীরা রয়েছেন বসে জ্বালিয়ে উনুন
তাজা তাজা রস ঢালি হাঁড়িতে হাঁড়িতে
আতপচাল আর খেজুর রসের পায়েসের
ঘ্রাণে প্রভাত বেলা চারিদিক করে ম-ম
ভাইবোন সব মিলেমিশে থালা নিয়ে
বসে থাকি অরুণ আলোয়ে বাকুম বাকুম!!


(যাদু= বড় চাচাকে আদর করে ডাকা হয়
নাড়া= ধান কেটে নেয়ার পরে নীচের অংশ)