কিছু কিছু সুরের শরীর শানিত ছুরির মত
আমার গোটা বুকটা ফালি ফালি করে দিয়ে যায় ;
ঋতুমতী কিশোরীর মত হয়
আবিরাম অন্তরিত রক্তক্ষরণ !
দীর্ঘ পথক্লান্ত পথিকের চোখে
ফেলে আসা অতিদূর হেমহর্ম্যের মতন
বেদনাহীন সেই বিবর্ণ রক্তে
তোমার মায়াবী মুখ বিম্বিত !
ছায়ারঙ অপসৃয়মান তোমার শরীর
ঘোরলাগা মোহন সুরে সুরে তরঙ্গায়িত !
গোধূলির আবির মাখা সেই আবহ সুরে
আমার রক্ত কনিকায়-স্নায়ুতে খেলা করে
কুৎসিত এক নিরিবিলি সন্ধ্যা –
রূপাজীবা নাগরবালার শরীরে
যেমনি খেলা করে অসংখ্য কীটেরা ;
সঘন কৃষ্ণ যামিনীর অত্যাচারে
বিধ্বস্ত গনিকার শরীর ছেনেছুনে
আদিম বন্যতা হয় উল্লসিত যেই সুখে
আমার হিম রক্তের ভেতর খেলা করে
তেমনি এক বিপন্ন বাসনা ; -মনে হয়
মানসীর রক্তিম ঠোঁটে দগদগে ক্ষত ,
পেলব ঊরু যেন ভিজে ন্যাকড়ার পলিতা !