শ্রাবণীর ভৈরবীরাগের সুরে
আর কদম-কেতকীর স্নিগ্ধ সুবাসে
ঘুম ঘোরে চলে যাই আদীম সভ্যতার দেশে!
রূপসী নারীর সখ্যতায় কেটে যায়
কিছুটা সময়...!
শ্যামা-দোয়েল আক্ষেপ কন্ঠে সুর তুলে-
মমতা ফটক দিয়েছে খুলে
যারে বান যা ঢেউ তুলে......
কেঁদে উঠল নারী-পুরুষ!
আর্তনাদে-আর্তনাদে চিৎকারে-চিৎকারে
ফিরে আসি আদীম সভ্যতার নগর ছেড়ে;
চোখ খুলে দেখি বসে আছি
অদ্ভুত তিমির পিঠে,
জুমলেন্সে ধরা পড়ে জলের নিচে
রূপশালি ধান আর কেয়াঝোপ
জলজ উদ্ভিদ এখন!
বাতাসে বাতাসে ভাসে
কদম-কেতকীর পচা গন্ধ!
সাগর নিয়েছে গিলে “রূপসী বাঙলা”,
জেগে আছে মাঝ খানে কিছু কিছু
“দারুচিনি দ্বীপ”!
বাঙলার “বনলতা সেন”
সজল নয়নে বলে-
এতোদিন পরে তুমি এলে...
দিয়ে যাও এক মু্ঠো ত্রাণ
বেঁচে যাক ছাওয়ালের প্রাণ!