ভাসাও তোমার ভেলাখানি স্রোতস্বিনীর বুকে
থামবে-নাকো, বাধবে-নাকো কখনও কেউ তাকে;
ছুটবে সে যে জলের তোড়ে পাকে পাকে বাঁকে বাঁকে।
ভাসাও তোমার ভেলাখানি স্রোতস্বিনীর বুকে।


ভিড়বে সে যে ভিড়বে সকল ঘাটে ঘাটে তীরে তীরে
বাধবে না কেউ, উঠবে না কেউ তব ভেলা’পরে;
তব ভেলা পানে অবহেলে রইবে না কেউ চেয়ে,
ঊর্মিমালায় কেঁপে কেঁপে চলবে সে যে ধেয়ে।


ভাসাও তোমার ভেলাখানি স্রোতস্বিনীর বুকে
থামবে-নাক, বাধবে-নাকো কখনও কেউ তাকে।


আসবে ঝড়, আসবে ঝঞ্ঝা স্রোতস্বিনীর উঠবে ফুসেফুলে
ভয় নাই ভয় নাই তব ভেলাখানি ডুববে নাকো জলতলে
ভাসবে সে যে ভাসবে স্রোতস্বিনীর বুকে তরঙ্গে তরঙ্গে
খেলবে পুলক জাগবে কাঁপন তারি অঙ্গে অঙ্গে!


ভাসাও তোমার ভেলাখানি স্রোতস্বিনীর বুকে
থামবে-নাকো, বাধবে-নাকো কখনও কেউ তাকে
হয়তো বাধবে কোনোও শৈবালদামে বালুচরে পড়বে আটকে
আবার ভাসবে সে যে ছুটবে সে যে  বানের তোড়ে
ভেসে ভেসে মিলবে সে যে অসীম সাগরে
রইবে জেগে রইবে সে যে ধেয়ানে অনন্তরে!