পাখির কিচিরমিচিরে ভেঙ্গে যায় ঘুম
মসলিন শাড়ীর মতন মিহি কুয়াশায়
ঢেকে আছে চারিদিক,আশ্চর্য সুন্দর!
ভেজা ভেজা লাজরাঙা বঁধুর মতন
নরম রক্তিম সূর্য উঁকি মারে পূবে
যেন কোনো এক মায়াবিনী মুখ!
ঘুম ঘুম ঢুলুঢুলু চোখে হেঁটে যাই
নদীর কিনারে, বৈঠা হাতে ডিঙ্গা ভাসাই।


কাশ বনের মাথায় সূর্য দিয়েছে তার লালিমা ছড়ায়ে
আশ্চর্য সুন্দর প্রকৃতির রূপে উদ্দীপিত হৃদয়!


কাশ ফুলের শুভ্রতায় হৃদক্যানভাসে সাদা রঙ মেখে
ফেলে আসা সময়ের মোহনীয় কোনো রঙিন ছবি আঁকব,
আবেশিত মন খুঁজে ফিরে মধুর স্মৃতিময় হারানো
কোনোও এক মূহুর্ত কিংবা কাহারো নরম মুখ;
স্মৃতির ভাড়ার শূন্য কে জানিত তাহা!


জলের কুলকুল ধ্বনি কুহকিনীর হাসির মতন
ঢুকে পরে কানের ভিতর
কুয়াশার চাদরে ভেসে ওঠে এ কাহার আনন
চিনি না জানি না আমি দেখিনি কোনোও দিন
তবুও বেশ চেনা চেনা মনে হয় সে কী তুমি,
কুহকিনী! কুহকিনী!! চমৎকার বিভ্রম...
বিমল প্রভাতে শান্ত জলের বুকে ঐন্দ্রজালিক আবহ
ঢুলুঢু্লু চোখ, শিথিল মুঠো ফসকে বৈঠা খসে যায়;
মোহাচ্ছন্নের মতন জলের তোড়ে ভাসছি...


ভেসে ভেসে কাশবন ফেলে এসে
ঢুকে পরেছি হোগলা বনে,
হোগলা পাতার চাটাই বুনে বুনে
বাবুই পাখির সাথে দিন কাটাই...