কোটি কোটি সূর্যের মৃত্যুর পরে
পাইন-শিরিশ এর লোমশ পাতায়
রুপালী শিশির ঝরেছিল বলে –
বিশাল আঁধারে সমাহিত
নীল-সবুজ জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দে
জেগে উঠেছিলাম তুমি আর আমি ,
ধরার প্রথম মানব-মানবী
এক অপার্থিব সুখসুপ্তি হ’তে ।
তারপর গল্পের প্রয়োজনে বলো অথবা
এক মানবের তরে এক মানবীর হৃদয়ের টানে
অথবা এক মানবীর প্রতি এক মানবের
গভীর ভালোবাসায়
অথবা অন্তর্গত রক্তের দুর্বার আকর্ষণে
তোমার নগ্ন নির্জন হাতে আমার হাত ,
আমাদের চোখে অজস্র বিস্ময় ,
আমাদের চেতনায় হিমালয়ের মতন
এক অনড় গভীর বিশ্বাস –
আমাদের কোটি কোটি পরমাণুর
ঊষ্ণতায় আমরা পৌঁছে যেতে পারব
মৃত্যুর বিপরীত মেরুতে !


আমাদের জীবনের টুকরো টুকরো ব্যর্থতা ,
আমাদের জীবনের টুকরো টুকরো মৃত্যু ,
আমাদের কোটি কোটি পরমাণুর বিচ্ছুরণ ,
লক্ষ লক্ষ সূর্যের মৃত্যুর ভিতর দিয়ে
আমরা আমাদের অখন্ড চেতনার
মুখোমুখি এখন !


আমাদের অন্তর্গত রক্তক্ষরণের
বিষবাষ্প আকাশে আকাশে উড়িয়া বেড়ায়
অসংখ্য ধ্বংসের পরমানু নিয়ে ;
আমাদের প্রথম উচ্চারণ,
আমাদের প্রথম মন্ত্র ,
আমাদের প্রথম বিশ্বাস ,
আমাদের অস্থিমজ্জায় সমাগত
সেই আদি সুর ভেঙে গেছে বলে !


আমাদের অন্তর্গত রক্তক্ষরণে –
আমাদের প্রত্যয় এখন
অস্বাভাবিক অস্থিরতায়
সুতাকাঁটা ঘুড়ির মতন
গোত্তা মেরে মেরে
জীবনের বিপরীত মেরুতে ধাবমান !