শুধু একবার দেখেছি তাহারে কালিসন্ধ্যায়
কলসী হাতে যেতেছে হেঁটে কালিন্দীর দিকে
তারপর আর ছায়া তার কভু পড়েনি পৃথ্বীর মাঠে!
সবুজ দীঘল ঘাস পায়নি টের
বাতাসও বুঝেনি তার হৃদযন্ত্রণার কথা
আমিও বুঝিনি
কী এতো কষ্ট ছিল
গাঁয়ের সাধারণ রূপসী মেয়েটির বুকে!
কী গভীর অভিমানে গিয়েছে সে চলে
অনন্ত অন্ধকারে আর ফিরবে না বলে!
ব্যথিত বাতাস বিষাদিত স্বরে বলে গেলো মোরে-
‘প্রতারক প্রেমিকের বিষাক্ত চুম্বন
নিয়েছে কেড়ে মায়াবী পৃথ্বীর সকল
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে’!


অনুমিত সময়ের কাছে প্রশ্ন থাকে
একদিন সব আত্মাভিমানী রূপসী
তরুণীরা কী হারিরে যাবে চুপি চুপি!
জানি না তাহা, শুধু এইটুকু জানি-
বাঁশবনের মাথায় জেগে ওঠা
কলঙ্কিত চাঁদ ছিল না সে,
সে ছিল গাঁয়ের সহজ সরল
পরমা রূপসী বালা
তাই সে গিয়েছে চলে চুপিসারি বহুদূরে
সভ্যতার মুখোশপরা সমাজ ঘৃণা করে!