পাড়াগাঁ’র চঞ্চলা কিশোরী বধুটির
কানেপরা ঝুমকার মত দোল-খায়
পূবালী বাতাসে রক্ত জবা গুলো
নুয়ে পড়া সরু সরু ডালে
কুড়িটি বছর আগে পরম যতনে
কৈশোরের সাজানো বাগানে!


পাড়াগাঁ’র কোনো এক সাধারণ
রূপসী নারীর জন্য সাজায়ে ছিলাম
বাগান আমার;
আহা! বড় সাধ ছিল-
কো্নো এক তারা ভরা রাতে
ভাদ্রের জোছনা মাখা রাতে
রমণীর খোঁপায় পরাবো
বাসহীন লাল রক্তজবা!


কুড়ি কুড়িটি বছর হয়ে গেল পার
এলো-নাকো সেই নারী আর
নরম সবুজ হাওয়ার রাতে
ভাদরের আকাশ ভরা তারার রাতে,
পরানো হ’লো-না খোঁপায় তাহার
পরম আদরে সেই জবাফুল আর!


পরানো হবে না কোনোদিন আর
রক্তজবা ফুল খোঁপায় তাহার
ঢের জেনে কুড়িটি বছর পর
কী দারুন অভিমানে বাগান আমার
শিকড়ের সবটুকু মাটি লয়ে হায়
বহতা নদীর বক্ষে ডুবে গেল তায়!


তবুও রহিবে ফুল গুচ্ছএক সাজানো
কোনও ফুলদানীতে নয়, বুকের অলিন্দে
পরম যতনে শুধু বুকের অলিন্দে!
অনেক কুড়ি বছর পরে যদি আস
তুমি হে রমণী, কোনো এক শারদীয় রাতে
বুকের অলিন্দ থেকে তুলে এনে পরাবো
তোমার খোঁপায় লাল রক্তজবা ফুল
ঢের গাঢ় মমতায় হিম সাদা চোখ বুজে!