কাঠ আর ধাতুর সমন্বয় উৎফুল্ল দারুন কর্ষণে
শ্যামলা মেয়ের বুক চিরে চিরে বিপুল স্বর্নের সমাহার ,
স্বর্ন থেকে উৎসারিত সোনালী দ্যুতি কৃষকের আঙিনায় ;
উচ্ছল মুখরতায় ভরপুর কপোত কপোতির কন্ঠ !
হেমন্তের মিহি শিশির ভেজা নরোম নরোম সোনারোদ
আমাদের পৃথিবীর আঙিনা জুড়ে খেলা করতো এক দিন ,
সেই নরোম নরোম সোনারোদ  মেখে কৃষক হ’তো উন্মত্ত
বিপুল আয়োজনে আর কৃষাণী বধুরা রাতের সুখশয্যা
গুটায়ে লক্ষ্মীর চরণে ঢালত ভোরের শিশির মাখা ফুল ;
এমনি এক সরস সতেজ দিন ছিল আমাদের পৃথিবীতে !


আমাদের পৃথিবীর সরোবরে ঝিলের জলে দিঘীর বুকে
অজশ্র শাপলা শালুক কেড়ে নিত কিশোরীর রাঙামন ,
হাজার রকম মরাল সারস মহা উল্লাসে খেলা করত
ডুবসাঁতারে আমাদের অনেক অনেক হাওরের জলে
পাখনার ভেতর গুজে ঠোঁট মেখেনিত সুর্যের নরম ওম ;
বাঁশের বাঁশরি হাতে রাখাল বসত হিজল তমাল ছায়
চিকন মিহি সুরের মূর্ছনায় দিকচক্রবালের গায়
খেলা করত রুপোর মতন নরম শাদা চকচকে রোদ
সেই রোদের ভেতর অগণিত রমণীর মুখ , - মুখ থেকে
উৎসারিত রঙিন ফোয়ারা উচ্ছ্বাসে উতরোলে ভরা !


আমাদের পৃথিবীর ঘরে ঘরে কার্তিকের নবাণ্ণে শালিক
কাক কাকাতুয়া শ্যামা দোয়েল খঞ্জনারা এসে ভিড় করত
কিশোরীর রাঙা পায় ঘুঙুরের শব্দে সারাদিন উজ্জ্বল
সূর্যের নীচে তারপর সূর্য সোনার থালার মত হলে
অনেক অনেক আবির মেখে পাখিরা ফিরে যেত কুলায় ;
অবারিত শান্তির ছায়া নামত আমাদের পৃথিবীর’পরে ,
এমনি সরস সতেজ দিন ছিল আমাদের পৃথিবীতে ;
সেই সরস সতেজ দিনগুলো আজ পলাতক ফেরারী !