পোড়া কলিজার ঘ্রাণ পাচ্ছি বাতাসে বাতাসে
সবুজ অরণ্য আর জনমানবহীন বিরাণ ভূমে!
মধ্য আকাশে সূর্যের অস্বাভাবিক উত্তাপ,
পায়ের নীচের তপ্ত বালু বলে যায়-
‘তুমি বিশাল এক মরা নদীর বুকে
দাঁড়িয়ে আছো বিমূঢ়ের মতন’!


ইচ্ছে হলো- নদীর উৎসমুখে
বা মোহনার দিকে হাঁটব;
উত্তর দক্ষিণ পূর্ব বা পশ্চিম
কোনো দিকনির্দেশনা নেই
নেই পোড়া কলিজার ঘ্রাণের উৎস
আমি দিকভ্রান্ত অথর্ব পুরুষ!


কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমি, ভেসে এলো
রহস্যময়ী নারী কন্ঠের আর্তনাদ -
‘মরা নদীর বুকের নীচে
ওর সন্তানেরা ঘুমন্ত এখন
হটাৎ একদিন জেগে উঠবে
প্রলয় ডঙ্কা বাজিয়ে;
তুমি সরে যাও... তুমি সরে যাও...!
পোড়া কলিজার ঘ্রাণ সে আমার... সে আমার...’