( আসরের সকল সম্মানিত কবিগণকে নিবেদিত! )
                          
মোগো দ্যাশে তোমরা আইবার চাওতো আহো, ভয়নাইক্যা!
মোরা এহন বন্ধুক দিয়া মানুষ মারি, পক্ষী মারি না;
খালে বিলে বইবা উড়বা মাছ গুগলি খাইবা কেউ কিছু কইব না।
তয়, স্বভাব দোষে চিকন সুতার জাল পাইত্তা তোমাগো ধরি আর
হালিতে হালিতে ঠ্যাঁঙ বাইন্দা ঝুলাইয়া ঝুলাইয়া
মৌসুমে টাহাওয়ালাগো কাছে বেঁচি টাহার লোভে
হ্যারা তেলমসলা মাইক্ক্যা আগুনে পুড়াইয়া খায় এই যা...
হোনো, মেঘনার চরে বইলে একটু ভয় আছে-
মেঘনা পাড়ের পদ্য পাগল কবীর মিঞা নাগাল পাইলে
তোমাগো লম্বা লম্বা ফর তুইল্ল্যা কালির দোয়াতে চুবাইয়া
পদ্য লিখব, কালি শ্যাষ অইলে তোমাগো কইলজার ভিতরে
ঢুকাইয়া লাল রঙ দিয়া রাঙা পদ্য লিখতে পারে...
ওহো, শপথ মিঞা আছে হেপারে হেয় ঠ্যাক দিবো ডর নাই!
মরা ব্রহ্মপুত্রনদে ভাসো ভয় নাই- মিঞা মনিরুজ্জামান
গীত বাইন্দা লোভী লোকজনরে ঠ্যাহাইবো।
রুনা বিবির ধারেকাছেও যাইবা না, হেতাইনে একবার
পাইলে কাছে গলা ধইর‍্যা দেবে কাইন্দা ‘ মন পাখি তুই
যাইস না উইড়া... রাখুম তোরে পিঞ্জিরায় ভইরা’ আহা!
জসীম মিঞা তাগড়া ব্যাটা হ্যায় দেবে ছাড়াইয়া রুনারথন।
সিলোটের হাওরে বিলে বেড়াইবা পাখনা মেইল্যা কলকলাইবা
হ্যানকার পোলা রেজা মিঞা তোমাগো নিয়া মজার ছড়া লিখব
খুশিতে মন ভইর‍্যা যাইব ব্যাকতের, পানির মাছের মনও খলবলাইব।
পদ্মা-যমুনার জলে ভাসবা চরে বইবা উড়বা; পাবনার ব্যাটা
আদৃত কবি তোমাগো কত্ত আদর করব মাথায় হাত বুলাইয়া।
ধলেশ্বরী-শীতালক্ষ্যার কিনারে গেলে খবর আছে- সরদার ব্যাটা
নাড়ি ভুড়ি ঘুইট্টা আন্ডা বাইর কইর‍্যা ছাড়ব; সাবধানে থাকবা।
বুলবুল মিঞার ছন্দে তালে নাচবা না, হ্যায় ফাঁন্দে ফালাইয়া
দহন কারেকয় বুঝাইয়া দেবে হাড়ে হাড়ে; সইতে পারবা না!
হো্নো, ইথার আর ড. শাহানারা বেগমের থাইক্যা দূরে থাকবা
হ্যারা একবার ধরতে পারলে ছিল্যা কাইট্যা গোষ্ঠি উদ্দার করব।
বাংলার দক্ষিণে সুন্দরবনের কাছে যাও, শাতক্ষীরার পোলা
গোপাল বাবু মধুর রসে ক্ষীর শিন্নি রাইন্ধা খাওয়াইব।
একবার খাইলে আর শীতের দ্যাশে ফির‍্যা যাইবা না;
যাওনের দরকার নাই মোগো দ্যাশে থাইক্যা যাও!
আন্ডা দিবা ছাও ফুটাইবা চিন্তা নাই মোগো পারমিতা আর
রীনা দিদি দ্যাখভাল করব ভাবের গীত গাইয়া গাইয়া;
বাবু স্বপন গায়েন উড়াল আর পানিতে নামবার শিখাইবো
হ্যায় আরোহী অবরোহীটা খুব ভালা বুঝে কোনো চিন্তা নাই!
তোমাগো ফুলের মত রাঙা ঝুটি দেইখ্যা আমাগো মৌটুসি
হ্যার চিকন ঠোঁট ঢুকাইয়া দিতে পারে কানে মধু লোভে;
ঘা হইলে ভয় নাই, ডাক্তার প্রবীর বাবু আর প্রদীপ বাবু ওষুধ
দেবে ভালা হইয়া যাইবো। ভুলেও বাবু তমাল গাছে বইবা না
হ্যায় রাঙা রাঙা ফর তুইল্যা মনহারাইন্যা পদ্য সাজাইব!
বরিশালের পোলা সুমিত্র বাবু বনলতার মতন রূপসী বানাইব,
সোমালীর ভালোবাসার জোয়ারে সাতার কাটবা
পদ্মভরা দিঘীর জলে ঝিলে বিলে ফুর ফুরে মনে;
ফির‍্যা যাওনের কাম নাই হেই শীতের দ্যাশে
এবার থাইক্যা যাও মোগো দ্যাশে পরাণের পক্ষী!


বিঃ দ্রঃ আসরের কয়েকজন সম্মানিত কবির নাম ব্যবহার করেছি কবিতায় এই ধৃষ্টতার জন্য আমি অতি বিণয়ের সাথে ক্ষমা প্রার্থী! কবিতাটি আঞ্চলিক/কথ্য ও অপ্রচলিত ভাষায় রচিত।