ইদানীং তোমার কথাগুলো বেশ চমৎকার
কচকচে তরতাজা ডাঁশা পেয়ারার মত
লুফেনেয় তাবত আবালবৃদ্ধবনিতা !
(ঠুঁটো জগন্নাথের দেশ ক্ষুধার রাজ্যে
কথার তুবড়ি ছাড়া আর আছে বা কী ) !


এ ভাবে চালিয়ে যাও বন্ধু বেশ পসার হ’বে ;
রঙিন ফোয়ারার মতন উৎসারিত
দরদের মহানায়ক হয়ে উঠবে তুমি !
আমার যেই হাতের মাংস খসে গেছে গোলায়
সেই হাতে তালিয়া বাজাব !
আমার যে বোন অবয়বে নারীত্বের
ভয়াবহ দগদগে ক্ষত নিয়ে পড়ে আছে
উটকো গন্ধ ছড়ানো ডেরায়
সে-ও তোমার গলায় পরাবে পুষ্পমাল্য !


সার্থক মেধাবী সুবাসে তোমার
বুক ফুলে উঠবে কী (?) না
বিড়ালের মত তোমার নয়ন জোড়া
চিকচিক করে উঠবে –
দানবের নখের থাবায় কালচিটে দাগপড়া
করুন শঙ্খের মতন ঝুলে পড়া
স্তনের দিকে তাকিয়ে !


মহা সার্থক সময় তোমার
গোটা পৃথিবীর মানচিত্রে
শৌর্য-বীর্যের প্রতীকে
উদ্ভাসিত হবে তোমার অবয়ব !


চালিয়ে যাও বন্ধু এভাবে
ডায়াসে-মঞ্চে গ্রামে-গঞ্জে
ধারালো নগ্ন রমণীর মত
ফেস্টুন পোস্টারে ;
আমার ন্যাংটা ছেলে-মেয়ে
ন্যুব্জ হয়েপড়া বাবা-মা
গতর বেচা আমার বউ
বীরঙ্গনা বোন পঙ্গু ভাই
এবং আমি গোলায় খসে যাওয়া
মাংসল হীন হাতে
তালিয়া বাজাব ;
উঁচু করে ধরবো
তিন রঙা চার রঙা
পোস্টার ফেস্টুন !