এই ভরা পূর্ণিমা চাঁদের রাতে
পুরুষ মৃগরা আর ডাকে না এখন
মৃগনারীদেরকে মিলন উৎসবে ;
হলুদ ডোরাকাটা বাঘেরা-ও এখন
হয়ে গেছে তেজহীন অথর্ব প্রাণী ,
বাঘিনীর প্রসব বেদনা গেছে থেমে ,
চিতার উজ্জ্বল চোখ জ্বলে না আর
কেঁয়া ঝোপের আড়ালে রাতের আঁধারে ,
উচ্ছ্বল হংস মিথুন থেমে গেছে
শান্ত হাওরের জলে গুলির শব্দে শব্দে !


পূর্ণিমার চাঁদ এখন পান্ডুরবত
সোডিয়ামের প্রকট হলুদ আলোয়ে ,
আর আমরা – আমরা এখন হয়েগেছি
এক একটা চিত্রা হরিণ-হরিণী !
তাবত দু’পেয়ো মানুষেরাও এখন
হয়েগেছে এক একটা মানুষখেকো
ভয়াল হিংস্র বাঘ আর বাঘিনী !
চোখ জুড়ানো অতিথি পাখিরা এখন
আমাদের হেঁশেলে লোহার কড়াইতে
গরম তেলে ডানা নেড়ে মুচড়ে ওঠে
হলদে রঙের বাহারী শরীর নিয়ে !


আমের দপ্তরে দপ্তরে
বাঁশ আর গেওয়ার মন্ড থেকে
রূপান্তরিত মিহিন  পাতায় পাতায়
গড়ে ওঠে চিত্রা হরি্ণ-হরিণী , বাঘ-বাঘিনী ,
অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য !
আহা ! বেশ চমৎকার !


আমাদের সম্প্রচার যন্ত্রে হয়
মধুরলয়ে বৃক্ষ রোপণ অভিযান !
বনরক্ষীপালের ব্যবসা হয়ে ওঠে
দারুন জমজমাট মহা সমারোহে
বৃক্ষ নিধন আর রোপণ অভিযানে !


আমরা মানুষ এখন মহড়া দেই
চিতা , চিত্রা হরিণ-হরিণী আর বাঘ-বাঘিনীর
এক অবিনাশী কীর্তির !