ঘোলাজল নদী বয়ে চলে
আকাশের সীমানায়
দ্বীধাহীন শংকাহীন দ্বিচারিণীর  মতন
কোনও এক গোপন অভিসারে
উন্মত্ত বাঘিনীর লোলে !


মেঘের বুরুজ ভেঙ্গে চাঁদ উঁকি দেয়নাকো ,
গাছের ছায়া পড়েনা সেই ঘোলাজলে ;
সাদা বক লম্বা ঠোঁটে দু’এক ঠোকর মারে
কিংবা হিজল শাখে বসা মাছরাঙা
ঝপাৎ ঝপাৎ ডুব মারে বার কয়এক ,
কেঁপে কেঁপে উঠে জল ক্ষণিকের তরে
রোদের কান্তারে ; বাজপাখি চায় ফিরে এক বার
তারপর উড়ে যায় মরাখেকো শকুনের দেশে !


ফিরে আসে সেই নদী গাছ হয়ে – মধুমক্ষি গাছ ;
মাকড়সা লাটিম ঘুরে শাখায় শাখায়
পতঙ্গ মাছি বসে কুয়াশার সাথে –
শীৎকার চিৎকারে রাতের আঁধার ভেঙ্গে
শুদ্ধতার চোখে ছানি পড়ে !