গহীন অরণ্যে একদা ছিলাম আমি বেশ
ঘাস-লতা-পাতাদের গাঢ়ো মমতায়
শাল-মহুয়ার আঘ্রাণে আঘ্রাণে
বিশুদ্ধ চেতনা আঢুল আরূঢ়!
রবি-শশীর আলো-ছায়ায়
রঙিন ডানার প্রজাপতিদের ওড়াউড়ি,
ঘাস ফড়িং এর ছুটাছুটি,
বেশ চমৎকার সময় কাটছিল!


কোথা থেকে কী জানি হঠাৎ সবুজ ডানার
ছোট্ট এক পাখি আসিল উড়িয়া
বসিল ঘাড়ে বাধিল বাসা কেশদামে,
রক্তিম তার বঙ্কিম ঠোঁট ডুবিয়ে কুন্তলে
কহিল সে কত কথা অবিরাম শিশে শিশে
বেশ চমৎকৃত এবং মোহময়!
তার নরম সবুজ পাখনার ঝাপটায় ঝাপটায়
স্পন্দিত হৃদয় আমার ব্যাকুল আলোর নেশায়!


তারপর একদিন হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে
লতাদের সব ভালোবাসার জটলা ছিঁড়েফেড়ে
শিকড়ের ফাঁক গলে গলে ঘাস পাতা
বুকে মাড়িয়ে মাড়িয়ে বেড়িয়ে এলাম
দিগন্ত বিস্তৃত আলোর ভূবনে;
দুই পায় দাঁড়ালাম, দুই হাত মেলে
নরম আলোর উষ্ণতা ছুঁয়ে নিলাম,
দুই চোখ মেলে দেখলাম সোনালী শস্যের ক্ষেত,
দিগন্ত রেখায় রূপালী আলোর ঝিকিমিকি খেলা!


দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশ জুড়িয়া খৈফুলের মত
তারাদের ভিড়, নরম রূপালী আলো, শাদা কালো মেঘ;
মৃদু হাওয়ায় মেঘেরা ভাসিছে আকাশে আকাশে;
হিমেল হাওয়ার দোলায় নেমে আসে পৃথিবীর
কাছাকাছি তারপর টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে
জলের ধারায়, আহা! কী বিচিত্র খেলা এ ধরায়
চকিতে দামিনী খেলে যায়, দেহ-মন পুলকিত হয়!


                                  চলবে...