কোনো এক মধুপূর্ণিমা রাতে বিস্ময়ের ঘোরে
নারী এক ডাকিল আমারে মধুকণ্ঠে;
অনন্য সুবাস ছড়ায়ে সে যে নিয়ে গেল মোরে
আদিম জগতে; গাঢ়ো মগ্নতায় ডুবিলাম,
ভাসিলাম আবার আমরা ঢের জোছনায়!
বিস্ময়ের ঘোরে নির্বোধ মূর্খ উচ্ছ্বাসে
ঢের ঢের দিন হয়ে গেলো পার
চোখ খুলে দেখিলাম তারপর-
রাজা রাজ্য রাজপুত উজির নাজির
নগর-কোটাল, কোটালপুত্র, জঙ্গ-জঙ্গী
নাকারা-দামামা, গোলাবারুদ, খোলা সঙ্গিন;
জোতদার মহাজন পাইক পেয়াদা
চাষা প্রজা রায়ত রায়তী চাবুকের কসাঘাত
মানুষের রক্তাক্ত ছেঁড়াফাড়া শরীর;
আকাশে আকাশে শকুনের ঝাঁক!
ঈগলের ধারালো নখরে পায়রারা হত;
লোকালয় জুড়ে হায়েনারদল, বিভৎস চিৎকার!
সবুজ ডানার পাখি উড়ে যায় দূর অজানায়,
খুঁজিয়া পাইনা আর তারে ডালিম গাছের নিবিড় ছায়ায়!


পৃথিবীর বুকে সব জটিলতা এই মানুষের জন্য-
জঠরের জন্য অন্ন, আব্রুর জন্য বস্ত্র,
মাথা গোজার জন্য আবাস, আরও কতো কী!
প্রেম অপ্রেমের মহড়ার তোলপাড়,
মমতারদলা ভাঙার মহা তোড়জোড়,
তীব্র দহন আর জীবনের হলাহল,
নিবিড় শান্তিরা কোথায় এই লোকালয়!


রাতের আঁধারে আক্রোশে চিৎকারে
ডাকিলাম সেই সবুজ পাখিরে,
কহিলাম তারে- ‘এইখানে নহে আর
ফিরেয়ে দাও আমায় সেই অরণ্য আমার’!
                
                              
                                    সমাপ্ত