নগরের প্রান্তিকে ঘিঞ্জি বসতি
কানাগলি পথে ঘুরপাক খাচ্ছি
নগরে ফেরার পথ খুঁজে খুঁজে।
চেনা জানা পথ ছিল, অজানা এখন!
ফিরতে আপন ঠিকানায় ব্যাকুল হৃদয়
অনেক সময় ব্যয় শেষে মিলে পথের সন্ধান
নগর আর প্রান্তিক বসতির মাঝখানে
বিভাজক দিগন্ত বিস্তৃত অগভীর জলাসয়
তার বুকে জেগে থাকা কাঁচাপাকা চিকন সড়ক
মাঝ খানে কিছু তার নড়বড়ে বাঁশের সেতু
পায় হেঁটে মানুষের পারাপার। আমিও চলছি তাই,
যেতে হবে গন্তব্যে আমার। কোনো পথিকের
দেখা পাওয়া যায়নি। পেয়েছি দেখা কিছু বাস্তুহারা
মানুষের অস্থায়ী নিবাস আর ভাসমান ফসলের ক্ষেত।
হাঁটতেছি হাঁটতেছি ফুরায় না পথ। চারিদিকে ঘুরাই চোখ
শুধু ধোঁয়াশা, রথ চলেনা তবু ছাড়িনি আশা
এবার বুঝি ছেড়ে দিতে হবে সব আশা ভরসা;
নগরের দুই প্রান্ত থেকে আরও দুই সড়ক এসে গড়েছে
ত্রিশুল আকার! তেমাথায় এসে থেমে যেতে হলো।
কোন পথে যেতে হবে জানি না আমি, জানে না কেহ...