কোনো এক সুধাপ্রেমী এসে নিয়ে গেল মোরে
মরণের ওপারে কেতকী বধুর পাশে ,-
শাওন মেঘের ভারে আঁচলে ঢাকিয়া মুখ
রয়েছে জাগিয়া সলিলসমাধি’পরে ;
কাহার বিরহে কাতর কবেকার বধু সে যে
অস্তরাগের রেণু মেখে সেঁজুতি জ্বালায়ে
শুন্য পেয়ালা লয়ে হাতে রয়েছে দাঁড়ায়ে !


কোনো প্রেম নয় তবু প্রেম বোধ কাজ করে –
নেশার পেয়ালা ভরে রক্তিম চোখে দেখি
মলিন ধূসর কোনো এক প্রেমিকার মুখ
আজিকার নয় কত শতক-সহস্র
শতাব্দীর পুরানো কিংবা তাহারও বেশি ;
ভারত সাগর পারে কিংবা ভূমধ্য সাগর
তীরে হয়েছিল দেখা একবার
তারপর ধূসর পাখির ডানা মেলে উড়ে গেছে
নীল সীমানায় কিংবা বিকেল সূর্যের মত
ডুবে গেছে সাগর সলিলে ! ঝিনুক নিয়েছে তারে
গিলে পেটের ভিতরে , সেইখানে বাস তার
সলিলসমাধি তলে ।


খুব বেশি কষ্ট হলে শাওন মেঘের দিনে
কেতকী বধুর সাজে ফিরে আসে নীপবনে
কিংবা রাতের শেষ প্রহরে ভোরের সূর্য
ফোটার আগে দেখা মিলে তার সাগর তীরে
বালুকার’পরে খোলা মুখ ঝিনুকের পেটে ।


কোনো প্রেম নয় , তবু এক প্রেম বোধ কাজ করে –
সুরাপ্রেমীর শুন্য পেয়ালা ভরে মহুয়ার রসে
হারানো পুরানো সব প্রেমিকার মুখ ভাসে
কঙ্কালের খুলি সাদা দাঁত বাড় করে হাসে
বৈতালিক সুর বাজে তাহাদের হাড়ে !


কোনো প্রেম নয় , তবু এক প্রেম বোধ কাজ করে –
কবেকার কোন শেফালীর বুক থেকে তুলে আনা
জাফরান রঙ মেখে নেশার চোখে
শুন্য পেয়ালা লয়ে হাতে সুরাপ্রেমীর মতন
হেঁটে যাই বৈতরণী নদীটির দিকে !