যে প্রেম ডাকে না প্রণয়ীকে কাছে,
যেই প্রেমে নারীর হৃদয় দেয়-নাকো সাড়া,
যেই নারীহৃদয় বুঝে-নাকো পুরুষহৃদয় এর কথা
সেই প্রেমের বুকে কেবল খড়বিচালী চোরকাঁটা রয়!


তবুও প্রেমশক্তি অন্ধ অসুরের মত
ঝড় তুলে বুকে-
আমরা আন্দোলিত হই,
মূঢ় মগ্নতায় ডুবে রই;
পসরার মত চমকিতে সাজি
প্রণয়ী প্রণয়িনী!


আমাদের প্রণয়ের লেনদেন সুচক ও
বেশ উঠানামা করে;
রক্তের উষ্ণতায় উষ্ণতায়
আমাদের প্রেম কথা বলে,
সাগরের বুকে জোয়ারের বান
ডাকার মতন একবার ফুঁসে উঠে
তরঙ্গে তরঙ্গে ফেনায় ফেনায়
ভরে দেয় বুক
আবার নেতিয়ে পড়ে
ফাটা ফানুসের মত!


প্রণয়, এখানেও কী দেহজ উদ্ভিদের মতন
কৃষ্ণচূড়ায় আগুন-লাগে ফালগুনে
কুকিলের বুকে কামনার ঢেউ
তুল’বার জন্য?


আমরা এখন আমাদের প্রেম-এর
ভাষা বুঝি-নাকো,
আমরা এখন আমাদের হৃদয়ের
কথা শুনি-নাকো,
আমাদের প্রণয়ের সুর গাঢ় মৌনতায়
আছড়ে পড়ে দিকচক্রবালের গায়!


নির্জন রাতের আঁধারে পাতিয়া কান
নিশ্চুপে শুনি-নাকি সেই গান
পিপাসার গান!
গভীর অরবতায় হৃদয় যে কথা কয়
হৃদয়ের সেই ভাষা কে বুঝিতে পারে,
হিমশীতের রাতে খড়ের ভিতর
স্তব্ধ পাখির ছানার মতন যে হৃদয়
মানুষের বুকের ভিতর
সেই সব মানুষেরা
মাঘীপূর্নিমার রাতে মজাপুকুরের
গলাপানি জলের ভিতর
ঠায় দাঁড়িয়ে রয়
হৃদয়ের কথা কী উহারা শুনিতে পায়,
পায়-নাকি!