মেদ-মেধা-বোধ হীন আশ্চর্য পুরুষ এক
নির্বোধ উচ্ছ্বাসে কেবল পদ্য সৃষ্টির
বিরামহীন চেষ্টায় মশগুল ।
পাষণ্ড হৃদয় এক পুরুষের বুক থেকে
পদ্য কী উৎসারিত হয় কভু ?


আবেগ আর শৈল্পীক সত্তাইতো পদ্য শৈলী
তাইতো ন্যাড়া অশ্বত্থ , একপায় দাঁড়ানো তালগাছ ,
পাতিকাক-দাড়কাক , পেঁচারাও কবিতায়
ঐষর্যময় লাবণ্যে ঠাঁই পায় !


যেই পুরুষের কালো অধর-কপোলে
গোলাপের পেলব পাপড়ি ছুঁয়ে গেলে
কেঁপে ওঠে বুক কাঁটার ঘায়ের ভয়ে ;
সেই পুরুষের বুক থেকে
কী করে কবিতা উৎসারিত হয় !


যেই হৃদয় গাহেনি কভু কোনো গান ,
যেই হৃদয় শুনেনি কখনো প্রেমের বাণী ,
যেই হৃদয় কাঁদেনি আর্তের চিৎকারে ,
যেই হৃদয় দেখেনি ঊনিশশ’একাত্তর ;
সেই হৃদয় কী হয় কখোনো কবি হৃদয় ,
সেই হৃদয় থেকে কী কখোনো পদ্য জন্মলয় ?


তবুও সেই হৃদয় হীন বোধ হীন পুরুষ কেবল
পদ্য সৃষ্টির জন্য কেন এতোই ব্যাকুল ;
সে কী শুধু রক্ত-মাংসের উষ্ণতার জন্য ?
কবিতা , তুমিও কী রক্ত-মাংসের উষ্ণতার জন্য ?