হাজার হাজার বছর পর দেখা পেলাম তার
সিল্ক রোডের পাশে লোলা সুন্দরী আমার ।
লাল সিল্ক কাপড়ে জড়ানো,সোনালী চুল,
সেই আগের মতন অপূর্ব নাক তার;
চিত হয়ে শুয়ে আছে নিমীলিত চোখ !
নিথর শরীরে হাত রেখে সজল নয়নে
আকাশের পানে তাকায়ে চিৎকার করে
বললাম হে স্রষ্টা, ফিরিয়ে দাও জীবন তার !
স্রষ্টার করুণা হলো আকাশ থেকে
একটা তারকা ছুটে এসে ঢুকে গেলো
লোলার বুকে, লোলা একটু কেঁপে উঠে
চোখ খুলে তাকালো ।
তারপর ক্ষীণ কন্ঠে শুধালো আমি কোথায় ?
কহিলাম লবন হ্রদ থেকে এখন
সিল্ক রোডের পাশে ।
বিস্ময় ভরা চোখে তাকালো আমার পানে
শুধালো – তুমি কে ?
আমি আঁখি জল মুছে হেসে কহিলাম –
তোমার হারানো প্রেমিক ;
তারপর তাকে জড়িয়ে নিলাম বুকের ভেতর!
আবেগ ভরা কন্ঠে কহিলো সে-
তুমি সেই আগের মতন !
হাত ধরে তার সিল্ক রোড পার হয়ে
ঢুকে পরলাম আধুনিক বিউটিপারলারে,
তার পুরোনো সব বেশভূষা ঝেড়েফেলে
সাজালাম নতুন সাজে;
মুকুরে রেখে মুখ লোলা ভীষণ অভিভূত
আবেগ জড়ানো কন্ঠে কহিলো
আমি এতোটা সুন্দরী !
কহিলাম – সেই আগের মতন !
তারপর দু’জনে দু’জনার হাত ধরে বেড় হয়ে
এলাম পথে, কহিলো সে এতো সেই
আগের মতন অন্ধকার পথ;
ধীরে কহিলাম অনন্ত নদীর মতন !


লোলা অন্ধকারে ফিরে তাকালো
আমার মুখের পানে, শক্ত মুঠিতে হাত;
আমরা আমাদের হৃদয়ের  কম্পন
অনুভব করে নিয়ে হাঁটিতেছি …