আমি এখন সুউঁচু তাল গাছের মাথায় বসে আছি,
চারিদিক খোলা গ্রামের পর গ্রাম সবুজ অরণ্যে ঢাকা
দিকচক্রবালের পরিধি অনেক অনেক প্রসারিত
দেখার কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই!


ভাদ্রমাসের পাকা তালের ঘ্রাণে মৌ মৌ
বাদুর হলে পাকাতালের স্বাদ নেয়া যেত;
আমি বাদুড়ও নই, চামচিকাও না অগত্যা......
জানো এক সময় তালগাছের শক্ত ডগায়
বসত অনেক মড়াখেকো শকুন-শকুনী
মধ্যরাতে যখন পাখা ঝাপটাতো তখন
ভুতের ভয়ে কাঁপতাম আর ঈস্বরের নাম জপতাম;
দিন কেমন বদলে গেছে......!


গুলির শব্দে শব্দে সব শকুন পালিয়ে গেছে!
এই যে কত মড়া, গুলিবিদ্ধ কাটাছেঁড়া
আগুনে পোড়া শিশু বৃদ্ধ নারী পুরুষ
পড়ে আছে জমিনে, নদীর জলে ভেসে যাচ্ছে
সাদা কেশের কাশ মাথা দুলিয়ে চিৎকার করে বলছে
রক্তপানি খালে লাশ আর লাশ ভাসে...
ওরে ও নবীন তোরা কোথায় তোরা কোথায়
এর একটা সৎকার কর! আর কতোটা লাশ
পড়ে থাকবে জমিনে আর ভাসবে নদীর জলে!


আকাশটা মেঘের ঘনঘটায় ভরা
বিজুরী হাসছে ঝিলিক ঝিলিক
আমার এখন ভয় হচ্ছে ভীষণ
ঈশ্বরের বজ্রবাণ
শয়তানের গায়ে ছুড়ে মারেন...
যা সাধারণত পড়ে তালগাছের মাথায়.........