সুন্দরী প্রিয়া বান্ধবী বলল আজকে
কোনো চায়নিজ রেস্তোরায় খাবো ; -
বেশতো চল ।
এদিক সেদিক ঘোরা ঘুরি করে
একটা চায়নিজ রেস্তোরায় ঢুকে পড়লাম ,
মেনুর কাগজটা ওর দিকে ঠেলে দিলাম
কি কি খেতে চাস ওয়েটারকে বল ।
ওয়েটার একের পর এক খাবার সাজিয়ে
দিয়েযাচ্ছে টেবিলে ,
নরম আলোয়ে নির্জন কোণে বসে
চিবুচ্ছি আর গিলছি রসিয়ে রসিয়ে ;
তৃপ্তির ঢেকূর তুলে বিল পরিশোধ করে
রাস্তায় বেড়িয়ে এলাম , তখন বেশ রাত
আকাশের পূর্ণ চাঁদ আর সোডিয়ামের বাতি
বন বীথিপথে গাছের পাতা ছুঁয়ে ঝরছে
অপার্থিব আলোর বিভা, আমরা বিমুগ্ধ !
ও বলল কোনো টেক্সি নয় রিক্সায় চাপব ,
আস্তে আস্তে এই রাতের সৌন্দর্য মেখে নিয়ে
শরীর - মনে বাসায় ফিরব !
আমরা একটা হুডখোলা রিকশায় চেপে বসলাম ;
রিকশাওয়ালাকে বললাম একটু ধীরে ধীরে চালাও ।
জিহ্বা আর ঠোঁটের আরষ্টতা ভেঙ্গে কথার
খৈ ফুটছে আর আমরা ধীরে ধীরে বাসার পথে ।
কথার মাঝখানে ওকে একবার বললাম –
জানিস , কারো বুকে আগুন জ্বালাতে ইচ্ছে করছে ;
ও হেসে বলল আমার বুকে জ্বালাতে পারবিনা ;
আমি বললাম তোর বুকে নয় তুইতো বন্ধু
অন্য কারো বুকে ।
ও জানতে চাইলো এমন কেহ আছে নাকি ?
আমি বললাম না নেই !
কথা ফুরাতে না ফুরাতে ওর বাসার কাছে পৌঁছে গেলাম
ও কে শুভ রাত্রি জানিয়ে আমি বাসায় ফিরে
বাতিটা নিভিয়ে বালিশে মাথা রাখলাম ,
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ; মস্তিক তবু কথা বলে যাচ্ছে –
তুমি সূর্য দেবতা নও , চাঁদের বুকে আলো ফেলে
তাকে ঔজ্বল্যে বিমোহিত করবে এটা ভুল !