ভালোবাসার সাথে আমার দেখাই হয়নি
কত্তো হাটবাজারে, ইটের ভাটিতে
লাল শালুকের বিলে ঘুরেছি অনেক বার
কোত্থাও দেখা পাইনি...
একবার পৌষ সকালে খড়ের গাদায়
শুয়েছিলাম, সূর্যের নরম পরশে
বেশ ওম লাগছিল, সুর্য তেতেগেলে
ধ্যাতছাই বলে উঠে গেলাম...
চৈতের খরতাপে গাছের নিচে শুয়ে
দখিনা বাতাসের শীতল পরশ নিচ্ছিলাম
কালা কোকিলের কুহূতানে তন্দ্রা টুটে গেলে
খুব বিরক্তি নিয়ে গড়াগড়ি যাচ্ছিলাম
সাথীহারা ঘুঘুর যন্ত্রণার চিৎকারে
থাকা গেল না গাছের ছায়ায়
খোলামাঠে প্রান্তরের দিকে হেঁটে গেলাম
সূর্য তখন গোধূলির রঙ ছড়িয়ে চলে গেল!


তাপদাহে ক্লান্ত স্নায়ু ঘুমে আচ্ছন্ন
বিভা এসে বলল –‘ ভালোবাসা কী
তুই একদম বুঝিস না’
আমার বোঝার দরকার নেই
তুই বুঝলেই হ’লো!
সূর্য পূবে লালিমা ছড়াচ্ছে
আমি চোখে জল ছিটাচ্ছি
অরুনিমা ফিক করে হেসে বলে-
‘মনে হয় রাতে তোর ভাল ঘুম হয় নি’
জানি না, তুই এখন চলে যা...


ভালবাসাকে গভীর অনুভব করে
বিভা, কালার হাতটা ধরে চলে গেল
আমি অপলক তাকিয়ে দেখলাম
যতক্ষণ ওদের ছায়া দেখা যাচ্ছিল
তারপর কবিতার পাতাগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নদীর জলে ভাসিয়ে দিলাম,
রঙচটা আধমরা পানার মতন
দুলতে দুলতে হারিয়ে গেল অজানায়...