শেফালীর পাশে বসার মোহটা
অভ্যাসে পরিণতির আগেই
সময় বলে বিদায়!
নীলিমায় চোখ রেখে বিড়বিড় করে
কিছু কথা রেখে হাওয়ায়
বিশাল শূন্যতার মাঝে
হেঁটে যাই ছাতিমের নীচে!


মল্লিকার সাথে তেমন দেখা হয়নি
কথাও হয়নি কোনো।
হাসনুহেনা অনেক প্রিয়তর
শুধু আমার একার নয়, সবার
এমনকি বিষধর সাপেরও
কিন্তু ওকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি
বার বার বানভাসি জলে পড়েছে ঢলে
মৃত্তিকার বুকে!
ছোট্ট জুঁই বেশ আবেশিত করলেও
তাকে ধারণ করার সাধ্য ছিল না!


গন্ধরাজের পেলব ঠোঁটে পরশ বুলালে
নিজেকে যুবরাজ যুবরাজ মনে হতো!
একদিন অনেকটা সাহসী হয়ে
এক ঝটকায় তুলে নিলাম মুঠোয়ে।
ভিতরে ভীষণ অস্থিরতা অনুভূত হলে
কোথায় রাখবো তারে ভাবতেই দেখি
কুমকুম দাঁড়ায়ে রয়েছে জানালায়
কিছু না ভেবেই বুকের সব অস্থিরতাটুকু
ওর খোঁপায় গুঁজে দিতেই একটু মিষ্টি হেসে
বলে- ‘ইস! কী করছো; ঐ দেখ রবি হাসছে’!
রবির বড় চোখটায় চোখ পরতেই
বিমূঢ়ের মত পালিয়ে এলাম।
তারপর কতো শরৎ, হেমন্ত, বসন্ত
এলো  আর গেলো...


এটাকে হাজার বছরের পুরানো
গল্প বলা যেতে পারে,
তবে আমি বলছি না;
এটা জীবনের প্রতিটা রাত শেষে
ভোরের তাজা গল্প...