ফুটপাতের অনেক কাজ
দিন রাত একটুও বিশ্রাম নেই


সকালেই চা পান-বিড়ি ফুল
ফল সবজী শরবত ঝাল-মুড়ি চাউমিন
এঁদের সবার বসার জায়গা করে দিতে হয়
নইলে ওঁদের ঘরে হাঁড়ি চড়বে না - খাবে কি ?      


একটু পর কাজের মাসী মজুর দোকান কর্মী
এঁদের নিয়ে চিন্তা - দ্রুতগামী সবাইকে
একটু সরু ফাঁক করে দিতেই হয়


তারপর খট্ খট্ জুতো পায়ে দাদাবাবু দিদিমণি
ওঁদের বড়বাবু আবার ভীষণ দুষ্ট
সময় মত হাজিরাটি চাই ই চাই
নইলে মাইনের খবর নাই
তাই কি করা যায় - সাইরেন বাজিয়ে
জোরে ফাঁক করে
ফাঁড়াটা কাটান ছাড়া কোন গতি নাই


এইভাবে সারাদিন অজস্র বায়না পূরণের পর
ধীরে ধীরে সবাই বাড়িমুখো হয়
পকেটে গরম টাকা
ব্যাগে ছেলের আবদারের জিনিষ
গিন্নীর মন খুশী করা রঙিন সাড়ী ফাস্টফুড
ভাঙ্গা হাটে কেউই ফিরেও চায় না পথের বালি


গাঢ় অন্ধকার নেমে এলে কালো কালো
ছায়াগুলি নেমে আসে ফুটপাতের উপর
কোলে শিশু হাতে ছেড়া কাঁথা বালিশ
সামান্য ঝাড় পোঁছ শেষে
নিখাদ ভালবেসে মাটির কোলেই শুয়ে পড়ে
বে-ঘর অস্তিত্বের চিরস্থায়ী আশ্রয় তলে


ক্ষণিক পথচারী হাওয়ায় মিলায়
কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি এই ছায়াগুলি
ভালবেসে এঁকে বুকে রেখেছে তাই।  
====
৯ই আশ্বিন ১৪২২ বাং (১৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং)